আওয়ার ইসলাম : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ বলেছেন, রোহিঙ্গার মজলুম মুসলমানদের শুধু আর্থিক সহযোগিতাই নয়; তাদেরকে ইসলামি জ্ঞানের আলোকিত করতে হবে। এ দায়িত্ব উলামায়ে কেরামের।
আজ টেকনাফ লেদা ক্যাম্প, শাহপরী দ্বীপ, বালুখালী ক্যাম্পসহ অন্যান্য ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে মজলুম রোহিঙ্গা আলেমদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা বলেন।
জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক রাশেদ আনোয়ারের পরিচালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান, খুলনা মহানগর আন্দোলন সভাপতি মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক, শ্রমিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, খুলনা মহানগর নেতৃবৃন্দ, কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ আলী, সেক্রেটারি মাওলানা শোয়াইব আহমদ, মাওলানা ছগির আহমদ চৌধুরী ও থানা নেতৃবৃন্দ।
দীর্ঘ ২২ দিন যাবৎ চলে আসা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ত্রাণ কার্যক্রমের আওতায় তিনটি চিকিৎসা ক্যাম্প এ পর্যন্ত বিশ হাজারের অধিক রোগীকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। লঙ্গরখানা থেকে দশ হাজারের অধিক রোহিঙ্গা মুহাজিরকে খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। চাল ডাল তেল ইত্যাদি ফ্যামিলি প্যাক বিতরণ করা হয়েছে চল্লিশ হাজার বস্তা, দুই শতাধিক টিউবওয়েল এবং টয়লেট কাজ চলমান, রোহিঙ্গা মুহাজিরদের জন্য কয়েক শত তাবু ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে ক্যাম্পের মাঝে অবস্থিত খাল পারাপারের জন্য দুটি সাঁকো তৈরি করা হয়েছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিমের নির্দেশ, যতদিন যাবৎ সরকার বা জাতিসংঘ কর্তৃক রোহিঙ্গা মুহাজিরদের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিবেততদিন পর্যন্ত আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। যতো হাজার তাবু ও ল্যাট্টিন তৈরির প্রয়োজন পড়বে, করে দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ্।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কার্যক্রম সার্বিক তদারকি করছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, সহযোগিতা করছেন কক্সবাজার জেলার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ আলী।
তিনি ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন। দলীয় কার্যক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা থেকে উলামায়ে কেরাম আসছেন তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করছে ইসলামী আন্দোলনের ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।