মাওলানা আবদুর রাজ্জাক
হে মা! তোমার স্বলজ্জ চিৎকার আমি শোনেছি।
হে বয়োবৃদ্ধ বাবা! তোমার আরশ কাঁপানো আহাজারি আমার কানে ভেসে এসেছে।
হে বালুচরে উপড়ে পড়ে থাকা ছোট্ট ভাইটি আমার! তোমার গগণ বিদারি কান্নার শব্দ আমার হৃদয় কানে ধ্বনিত হয়েছে।
বোন! তোমার কাতর কণ্ঠের মিনতি আমার হৃদয় ছুঁয়েছে।
আমার দায়িত্ব ছিলো, তোমার চিৎকারে সাড়া দেয়া, মগদস্যুদের হাত থেকে তোমায় মুক্ত করা। আমার কর্তব্য ছিলো, তোমার আহাজারির জবাব দেয়া, নরাধমদের উচিৎ শিক্ষা দেয়া। আমার জিম্মাদারি ছিলো, বালুচরকে কারবালায় রূপান্তর করা, হায়েনাদের নিস্তানাবুদ করা।
আমার জন্য অনিবার্য ছিলো, তোমার মিনতিতে সাড়া দিয়ে নরপশুদের হিংস্রতা থেকে তোমাকে উদ্ধার করা, নাফ নদী পাড়ি দিয়ে তোমার মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়া। তোমার জন্মভূমি তোমার অধিকার ফিরিয়ে দেয়া।
কিন্তু হে মা! হে বাবা! হে ছোট্ট ভাই! হে বোন!
আমি তোমার জন্য কিছুই করতে পারিনি। আমার দুর্বল ঈমান আমাকে সাড়া দিতে দেয়নি। আমার হিম্মতের কমজোরি আমার হাতে অস্ত্র তুলে দেয়নি, আমার আত্ম মর্যাদাবোধ মুক্তি সংগ্রামে শক্তি জোগায়নি। তাই ক্ষমা চাচ্ছি। ক্ষমা করো হে মা, ক্ষমা করো হে বোন।
তবে, হে মা! আমি তোমার সন্তান হিসেবে একদম না-লায়েক নয়।
হে বোন! আমি তোমার ভাই হিসেবে বিলকুল নিস্তেজ নয়। আমি প্রস্তুতি নিচ্ছি, দস্যুদের উচিৎ শিক্ষা দেয়ার। তোমাকে উদ্ধার করার, তোমার মাটিকে স্বাধীন করার। আমি আজান দিচ্ছি মুক্তি সংগ্রামের। সন্ধানে আছি তারিক বিন যিয়াদ ও মুহাম্মদ বিন কাসিমের।
তোমার জন্য ছুটে এসেছি নাফ নদীর তীরে। এবার ওপার যাবার পালা।
আমি অবিভূত রোহিঙ্গাদের দীন প্রেম দেখে