আওয়ার ইসলাম : হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির দারুল উলুম হাটহাজারির মহাপরিচালক আল্লামা আহমদ শফী মিয়ারমারের আরাকানে মুসলমানের উপর পৈশাচিক গণহত্যা, নির্যাতন ও বিতাড়নের নিন্দা জানিয়ে আগামী ৬ অক্টোবর কক্সবাজারে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ সফল করার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা মুসলমানদের রক্ষায় আরাকানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা একান্ত প্রয়োজন। মিয়ানমারের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ ও অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা বিশ্বসংস্থা ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর নৈতিক দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন, আরাকানে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা মুসলমানের জন্যে নিরাপত্তা জোন তৈরি করতে হবে। মিয়ানমারের সরকার ও সেনাবাহিনীর বর্বরতার বিরুদ্ধে বিশ্বনেতৃবৃন্দকে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
আজ শনিবার বিকেল ৩টায় দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসায় অনুষ্ঠিত ওলামায়ে কেরামের এক বিশেষ জরুরি সভায় সভাপতির ভাষণে হেফাজত আমির শায়খুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফী এ কথা বলেন।
সভায় অন্যান্যদেও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, হেফাজত মহাসচিব ও দারুল উলুম হাটহাজারীর শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগর সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, নায়েবে আমির ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মাওলানা হাফেজ তাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুগ্নমহাসচিব মাওলানা লোকমান হাকীম, মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনাস মাদানী, ঢাকা মহানগরীর মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা মুজিবুর রহমান পেশোয়ারী, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, খুলনার মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি মাওলান সরোয়ার কামাল আজিজী, কক্সবাজার জেলার সহসভাপতি মাওলানা হাফেজ সালামতুল্লাহ, সেক্রেটারি মাওলানা ইয়াছিন হাবিব, মাওলানা হাফেজ মুবিন, উত্তর জেলার মাওলানা মীর মোহাম্মদ ইদরিস, হাফেজ মোহাম্মদ ফায়সাল, মাওলানা সরোয়ার কামাল, মাওলানা মোহাম্মদ লোকমান প্রমূখ।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আগামী ৬ অক্টোবর শুক্রবার ককসবাজারে হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে মহাসমাবেশ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয় এবং বিভিন্ন শরনার্থী ক্যাম্পে মসজিদ, মক্তক, মাদরাসা নির্মাণ, টিউবওয়েল বসানো এবং টয়লেট নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সভাপতির ভাষণে আল্লামা আহমদ শফী আরো বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা মুসলমানদের দুর্দশা অবর্ণনীয়। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু অভিভাবক হারা। বিভিন্ন ক্যাম্প ও এলাকায় শরণার্থীরা শিশুখাদ্য, পানি, ঔষধ ও স্যানিটেশনের তীব্র সংকটে রয়েছে। এসব রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য যার যার অবস্থান থেকে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসা প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানি দায়িত্ব।
নাগরিক অধিকার দিয়ে মিয়ানমারে ফেরৎ নেয়ার দাবিতে আগামী ৬ অক্টোবর শুক্রবার কক্সবাজারে হেফাজতের পক্ষ থেকে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত মহাসমাবেশ সফল করার জন্য আমি সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরাম ও তৌহিদী জনতার প্রতি আহবান জানাচ্ছি ।