আওয়ার ইসলাম : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত অঞ্চলকে নিরাপত্তা জোন হিসেবে ঘোষণা এবং আরাকানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করে রোহিঙ্গাদের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছেন।
আজ শনিবার ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এ আহবান জানান।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন করতে হবে। রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যাকারী সামরিক জান্তা ও অং সান সুচির আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার এবং রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার দিয়ে স্বদেশে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
ইউনুছ আহমাদ বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর যে নির্মম গণহত্যা চলছে তা ইতিহাসের সকল বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। বিশ্বব্যাপী এই গণহত্যার ধিক্কারের পরেও মিয়ানমারের সামরিক জান্তা তাদের নিষ্ঠুরতা বন্ধ করেনি, তাই রোহিঙ্গা মুসলমানদের রক্ষায় সরকারকে ব্যাপক কুটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত এবং মুসলিম বিশ্বকে নিয়ে আরাকান স্বাধীন করার জন্য সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গা মুসলমানদের সকল ধরণের সহযোগিতা করতে হবে। মানবিক কারণেই অনতিবিলম্বে সরকার ও সক্ষম সকলকে তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ প্রমুখ।
অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানরা তাদের দু:খ দুর্দশা সহ্য করার মত নয়। আরাকানকে স্বাধীন করে তাদের সমস্যার সমাধান করতে হবে। তিনি আরব বিশ্বের নিরবতার সমালোচনা করে বলেন, আপনারা শুধু আলখেল্লাই পরা শিখলেন। আর কিছু করতে পারলেন না। মিয়ানমারের পাশে দাড়ান না হলে আল্লাহর দরবারের জবাব দিতে হবে।