রকিব মুহাম্মদ: স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য আগামীকাল রবিবার থেকে খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল ও আটা বিক্রি শুরু করবে সরকার। প্রতি কেজি চাল ১৫ টাকা ও আটা ১৭ টাকায় বিক্রি করা হবে। প্রাথমিকভাবে দেশের বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে তা চালু হবে।
এ প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, চাল নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। চালের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা হওয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে না। সরকারের কাছে চালের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। রবিবার থেকে সব বিভাগীয় ও জেলা শহরে ওএমএস চালু হবে। যতদিন পর্যন্ত প্রয়োজন ওএমএস চালু থাকবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওএমএস-এর পাশাপাশি আগামী বুধবার থেকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিও চালু হবে। এ কর্মসূচিতে চলতি সেপ্টেম্বর থেকে আগামী তিন মাস ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবার ১০ টাকা কেজি দরে চাল পাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ কর্মসূচি চালু হওয়ার কথা থাকলেও প্রয়োজনীয় চালের মজুত ও সরকারের সব গুদামে চালের সুষম বণ্টন না হওয়ায় এ কর্মসূচি শুরু করা যায়নি। জানা যায়, বর্তমানে সরকারের গুদামে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে।
এসব চালের বেশির ভাগ চট্টগ্রাম ও খুলনাকেন্দ্রিক খাদ্যগুদামগুলোতে ছিল। কারণ, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানি করে তা চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে খালাস করে বন্দরকেন্দ্রিক গুদামগুলোতে রাখা হয়। পরে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এজন্য দেরিতে শুরু হচ্ছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি।
১০ লাখ নয়, ৩ লাখ টন চাল দেবে মিয়ানমার