জম্মু-কাশ্মির লিবারেশন ফ্রন্টের (জেকেএলএফ) চেয়ারম্যান ইয়াসীন মালিককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) তাকে শ্রীনগর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, হুররিয়াত কনফারেন্সের একাংশের প্রধান মীরওয়াইজ ওমর ফারুককে গৃহবন্দি করা হয়েছে।
দিল্লিতে জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ’র সদর দফতরের বাইরে কাশ্মিরি নেতাদের প্রস্তাবিত ধর্না-অবস্থান কর্মসূচির আগেই পুলিশ ওই পদক্ষেপ নেয়। কাশ্মিরি নেতারা আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ধর্না-অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন।
এক কর্মকর্তা জানান, ইয়াসীন মালিককে হেফাজতে নিয়ে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শ্রীনগর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দিল্লি যাওয়া বন্ধ করতে মীরওয়াইজকে গৃহবন্দি করা হয়েছে।
হুররিয়াত চেয়ারম্যান সাইয়্যেদ আলী শাহ গিলানি গত কয়েক বছর ধরে গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
সন্ত্রাসে অর্থায়নের অভিযোগে তল্লাশির নামে এনআইএ কাশ্মিরি নেতাদের হয়রানি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইয়াসীন মালিক এনআইএকে ‘গব্বর সিং’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। তার অভিযোগ, ‘শোলে’ সিনেমার গব্বরের মতো এনআইএকে দিয়ে কাশ্মির উপত্যকার সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে কেন্দ্র সরকার। তাদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে।
এদিকে, মীরওয়াইজ ওমর ফারুককে গৃহবন্দির তীব্র সমালোচনা করেছে হুররিয়াত কনফারেন্স। হুররিয়াতের এক মুখপাত্র ওই ঘটনাকে কর্তৃপক্ষের হতাশা ও জম্মু-কাশ্মিরে ক্ষমতাসীন সরকারের 'পরাজয়ের স্বীকৃতির প্রতিফলন' বলে মন্তব্য করেছেন।
মুখপাত্রটি জেকেএলএফ চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইয়াসীন মালিকের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে 'রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন ও রাজনৈতিক প্রতিহংসা' বলে অভিহিত করেন।
সূত্র: পার্সটুডে