আওয়ার ইসলাম: ছবিটি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে গেছে। আগ্রহ ভরে দেখেছে সারা বিশ্ব। নিয়েছে অনুপ্রেরণা। তবে ছবিটি তোলার সময় কল্পনাও করেননি এর ফটোগ্রাফার। তার কাছে অতি সাধারণ একটা বিষয়ই ছিল ছবিটা।
কাবা চত্বর থেকে ছবিটি তুলেছেন সৌদি আরবের ফটোগ্রাফার রাইদ আল হায়ানি। ছবিটি জনপ্রিয় হওয়ায় তিনি বেশ অবাক।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়ায় গত মঙ্গলবার আলোচিত ছবিটি প্রকাশ হয়। এতে দেখা যায়, কাবা শরিফের পাশে এক লোক নামাজ আদায় করছেন আর তার স্ত্রী নিজের ছায়া স্বামীর শরীরের ওপর ফেলেছেন, যাতে রোদে তার কষ্ট না হয়।
এবারের হজের মধ্যে আরাফাতের দিন ছবিটি তোলা। যদিও এরই মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে।
ফটোগ্রাফার আল হায়ানি বলেন, তিনি দৃশ্যটি পবিত্র মসজিদের ওপর থেকে দেখছিলেন এবং ছবিটি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন। এরপর এটি ভাইরাল হয়। লাখ লাখ লাইক ও কমেন্টে ভরে যায় তার ফেসবুক।
সৌদি আরবের মিস্ক ফাউন্ডেশনের অধীনে আল হায়ানি চলতি বছর হজ কাভার করেন। তিনি বলেন, ছবিতে থাকা ভদ্রলোক তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ ছবিটি শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে গেছেন।
চাল আনতে মিয়ানমার গেলেন খাদ্যমন্ত্রী
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদের ডামাডোলের মধ্যে দেশটি থেকে চাল আমদানির চুক্তি করতে মিয়ানমার গেলেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
গতকাল বুধবার খাদ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল মিয়ানমার গেছে। দলটি মিয়ানমার থেকে বছরে ১০ লাখ টন চাল আমদানির ব্যাপারে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর (এমওইউ) করবে। পাশাপাশি দ্রুত ২ থেকে ৩ লাখ টন চাল আমদানির ব্যাপারেও চুক্তি করার আশা করছে তারা।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে খাদ্যমন্ত্রী ছাড়াও আছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আতাউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক তোফাজ্জল হোসেন মিঞা, খাদ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। মন্ত্রীর নিজের খরচে তাঁর স্ত্রী তায়েবা ইসলামও সফরসঙ্গী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। দলটি ৯ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার ছাড়বে বলে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা নির্দেশে বলা হয়েছে।
এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর খাদ্যসচিব মো. কায়কোবাদ হোসেন ও উপসচিব জহিরুল ইসলাম খাদ্যনিরাপত্তা ও পুষ্টি বিষয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলম্বিয়া যান। খাদ্যমন্ত্রীর মতো খাদ্যসচিবেরও ৯ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবের একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণ সাধারণভাবে পরিহার করার কথা বলা হয়েছে। অবশ্য জাতীয় স্বার্থে বিশেষ ক্ষেত্রে তা করা যেতে পারে।