আওয়ার ইসলাম : পবিত্র হজের কর্মসূচি শেষ করার পর মিনায় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করে চলেছেন আল্লাহর ঘরের মেহমানগণ।আজ রবিবার তারা মিনায় ৩ শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপের মধ্যদিয়ে হজের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষ করবেন।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকেই হাজিরা ইহরাম বেঁধে ‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনি উচ্চারণ করে পবিত্র মক্কা নগরী থেকে মিনার উদ্দেশে রওনা দেন। আর এর মধ্য দিয়েই শুরু হয় হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। পরদিন মিনা থেকে তাঁরা সমবেত হন আরাফাতের ময়দানে।
পরবর্তীতে আরাফাত ময়দান থেকে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা দেন হাজিরা। মুজদালিফা অর্থ নৈকট্য লাভ করা। হজরত আদম (আ.) ও বিবি হাওয়া তাঁদের প্রথম দেখা হওয়ার পর এই মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়ে ছিলেন বলে জানা যায়।
মুজদালিফায় পৌঁছানোর পর মাগরিব ও এশার নামাজ একসঙ্গে পড়তে হয়। তারপর মুজদালিফার খোলা প্রান্তরে রাত কাটাতে হয়। জামারায় শয়তানের উদ্দেশ্যে পরপর তিন দিন পাথর ছোড়ার জন্য প্রয়োজনীয় পাথরের টুকরা এখান থেকেই সংগ্রহ করতে হয়।
শুক্রবার তারা মিনার তাঁবুতে ফিরে আসেন। তারপর বড় শয়তানকে সাতটি পাথর মেরে, কোরবানি শেষে মাথার চুল ছেঁটে বা মাথা মুড়িয়ে স্বাভাবিক পোশাকে মিনা থেকে পবিত্র মক্কায় ফিরে তাওয়াফ করেন (কাবা শরিফ সাত চক্কর দেওয়াকে তাওয়াফ বলে) হাজিরা।
জমজমের পানি পান করেন। সাফা-মারওয়া পাহাড় সাতবার প্রদক্ষিণ করে হজের অত্যাবশ্যকীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন । আজ তারা মিনায় ৩ শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপের মধ্যদিয়ে হজের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষ করবেন।এভাবে হজের আনুষ্ঠানিকতা পুরোপুরি শেষ হবে।
মক্কায় বিদায়ী তাওয়াফের পর হাজিরা দেশে ফিরে যাবেন।
আরএম