আওয়ার ইসলাম : দিনাজপুরের গোর-এ শহীদ ঈদগাহ এবার প্রস্তুত হয়েছে ৫ লাখ মুসল্লির জন্য। ৭৮ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এ ঐতিহাসিক ঈদগাহকে ধারণা করা হয় উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ।
শনিবার ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসনের গঠিত সমন্বয় কমিটি।
গোর-এ শহীদ মাঠে ঈদ উল-ফিতরে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মুসল্লির সমাগম হয়। প্রায় ৫ লাখ মুসল্লির একসঙ্গে নামাজ আদায় করার লক্ষ্য নিয়ে এবারের প্রস্তুতি।
ঈদগাহের চারপাশে সিসি ক্যামেরা, মুসল্লিদের ১০টি প্রবেশ দ্বারে মেটাল ডিটেক্টর বসানো হয়েছে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সাদা পোশাকে ঈদগাহ প্রাঙ্গণে দায়িত্ব পালন করবেন। রবসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরাও নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সক্রিয় থাকবেন।
প্রায় ৫ লাখ মুসল্লি একসঙ্গে যাতে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন সেজন্য নির্মাণ করা হয়েছে ৫২ গম্বুজ বিশিষ্ট মিনার। ঈদগাহ মিনারের মূল অংশ তৈরিতে খরচ হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এই ৫২ গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে ২টি মিনার, মাঝের দু’টি মিনার ৫০ ফুট করে এবং প্রধান মিনারের উচ্চতা ৫৫ ফুট। এই সব মিনার আর গম্বুজের প্রস্থ ৫১৬ ফুট।
দেশের সবচেয়ে বড় ঐতিহাসিক গোড়-এ-শহীদ ময়দানের পশ্চিম দিকের প্রায় অর্ধেক জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই ঈদগাহ মিনারটি।প্রত্যেক গম্বুজে বৈদ্যুতিক বাতি সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
মিনার দুটির উচ্চতা ৫০ ফিট, যে মেহেরাবে খতিব বয়ান করবেন সেটির উচ্চতা ৫০ ফুট। ৫২টি গম্বুজ ২০ ফুট উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। গেট দু’টির উচ্চতা ৩০ ফুট। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে মিনারের নির্মাণ কাজ শুরু হয়, পরে তা ৬ মাস বর্ধিত করা হয়।
জাতীয় সংসদের হুইপ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম জানান, শুধু বাংলাদেশে নয়, উপমহাদেশে এত বড় মিনার সম্বলিত ঈদগাহ মাঠ আর একটি নেই। এখানে প্রায় ৫ লাখ মানুষের ঈদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকছে যা শোলাকিয়ার চেয়েও বড়। লোক সমাগম বৃদ্ধি করতে বিভিন্নস্তরের লোকজনের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।
আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘ এবার এই ঈদগাহ মাঠে লোক সমাগম অনেক বেশি হবে, যা ইতিহাস হয়ে থাকবে।’