আওয়ার ইসলাম : মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রসহ নানা দেশে আজ পবিত্র ঈদুল আযহা পালিত হচ্ছে৷ তবে বাংলাদেশে আগামীকাল ঈদ হবে। আর তাই ঘরমুখো মানুষ নাড়ীর টানে গ্রামে ছুটছেন।
ঈদযাত্রার শেষ দিনে রাজধানীর রেলওয়ে স্টেশন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে ট্রেন ছাড়ছে নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে। এদিকে, বিপুল সংখ্যক ঘরমুখো মানুষের চাপে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দেখা দিয়েছে লঞ্চ সংকট। আর সড়ক পথের যাত্রীরা, শেষ মূহূর্তে বেশি দামে টিকিট কিনলেও সময় মতো বাস না আসায় চরম দুর্ভোগের শিকার।
অর্থ ও নিরাপত্তার কোন তোয়াক্কা না করেই স্বজনদের সাথে ঈদ উদযাপনে নগরবাসী যে যেভাবে পারছেন ছুটছেন নাড়ির টানে গ্রামে।
কর্মব্যস্ততাসহ নানান কারণে যারা ঈদযাত্রার শুরুর দিনগুলোতে যেতে পারেন নি, তারাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ির পথে রওয়ানা হয়েছেন আজ। ভোর থেকেই দেশের দক্ষিণাঞ্চলগামী মানুষের পদচারণায় টই-টুম্বুর অবস্থা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে।
এদিকে, রেলপথের ঈদযাত্রা খানিকটা স্বাভাবিক থাকলেও, ট্রেন ঢাকায় ঢোকার পর যাত্রী ওঠানামায় পেরিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘ সময়। আর তাই নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা বিলম্বে ঢাকা ছাড়ছে দূর পাল্লার ট্রেনগুলো। বাড়ি ফেরার তীব্র আকাঙ্খায় সব ঝুঁকি আর ভোগান্তি ভুলে ছুটছেন নাড়ির টানের মানুষ।
তবে, সড়ক পথের যাত্রীরা আছেন টিকিট স্বল্পতা আর দীর্ঘ যানজটের কবলে। দেশের মহাসড়কগুলোতে খানাখন্দ আর সংস্কার কাজের জন্য এবার যানবাহনের ধীরগতি ভোগাচ্ছে উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের। সরকারি নজরদারির পরও চড়া মূল্যে টিকিট কিনেও বাস না পাওয়ার ক্ষোভ ছিলো যাত্রীদের।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন- গতকাল সবধরনের প্রতিষ্ঠান ছুটি হওয়ায় গ্রামে ফেরা মানুষের এই চাপ বেড়েই চলেছে। তবে, সন্ধ্যার পর থেকে মানুষের এই ঢল ক্রমেই কমে আসবে বলে ধারণা তাদের।
আরএম