নিউইয়র্কের ব্রুকলীন ওজনপার্কের গ্ল্যানমোর এ্যভিনিউ’র উপর অবস্থিত বায়তুল মামুর মসজিদ এন্ড কমিউনিটি সেন্টার (বিএমএমসিসি) ইসলামিক স্কুলের সামার সেশনের গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন হয়েছে। গত ২৮ আগস্ট সোমবার ১৬৫জন শিক্ষার্থী ও শতাধিক অভিভাবকের উপস্থিততে ইসলামিক স্কুলের সামার গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল এগারোটায় স্কুলের হল রুমে অনুষ্ঠিত গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে বিএমএমসিসি ইসলামিক স্কুলের প্রিন্সিপাল মাওলানা রশীদ আহমদ সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার আবু আহমদ নুরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বায়তুল মামুর মসজিদের প্রেসিডেন্ট আহমদ আবু উবায়দা, সাবেক প্রেসিডেন্ট আবুল ফজল ফয়সল, হিফজ শাখার পরিচালক হাফেজ মুশাররাফ হোসাইন।
স্কুলের শিক্ষক, ইসলামী সঙ্গীত শিল্পী ইকবাল হোসেন জীবন এর সাবলীল পরিচালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে সুললিত কণ্ঠে কালামে হাকীম থেকে তেলোয়াত করেন শিক্ষক হাফেজ আলী আকবার। পরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোরআন ও হাদিস সহ বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার ও সনদ বিতরণ করা হয়।
এর আগে প্রধান অতিথি আবু আহমদ নুরুজ্জামান বলেন, প্রবাসে বড় চ্যালেঞ্জের মাঝে সন্তানদের লালন পালন করতে হয়। আমাদের সন্তানদেরকে স্কুলে মুলধারার শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় অর্জন করাতে হবে। অন্যথায় পশ্চিমা সংস্কৃতিতে সন্তানদের ইসলামের পথে ধরে রাখা যাবেনা। এ জন্য নতুন প্রজন্মকে মসজিদ ভিত্তিক ইসলামিক স্কুলমুখী করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ইসলামিক স্কুলে কোরআন, হাদিস ও ইসলামিক স্টাডিজ যা শিখবে, দৈনন্দিন জীবনে তাদেরকে প্র্যাক্টিস করাতে হবে। বাসায় বা দৈনন্দিন জীবনে প্র্যাক্টিস না থাকলে সব ভুলে যাবে এবং বাস্তব জীবনে কাজেও লাগাতে পারবেনা।
বিএমএমসিসির প্রেসিডেন্ট, শিক্ষাবিদ আহমদ আবু উবায়দা বলেন, আমেরিকার মতো দেশে সন্তানদের ইসলাম শিক্ষা দিতে পারা আল্লাহ তায়ালা অশেষ এক নেয়ামত। এ সুযোগের মধ্যে সন্তানকে কোরআন ও হাদিসের জ্ঞান শিক্ষা দিতে না পারলে মা-বাবাকে পরকালে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বিশেষ অতিথি আবুল ফজল ফয়সল বলেন, আমাদের সন্তানদের নিয়ে একটা টার্গেট ঠিক করতে হবে। তারা যেন আগামী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মুলধারার চাকরি ও ডিসিশান মেকারদের জায়গায় যেতে হবে। যেন মুসলমানদের অধিকার সহজে প্রতিষ্ঠা করা যায়।
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=696468350557099&set=pcb.696468903890377&type=3
স্কুলের প্রিন্সিপাল মাওলানা রশীদ আহমদ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, অভিভাবকদের সহযোগীতা নিয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষকদের নিয়ে বিএমএমসিসি’র সামার সেশন আল্লাহর রহমতে শেষ করেছি। এ সামারে ১৬৫ জন শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েশন করেছে। আবার আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে উইকেন্ড ক্লাস শুরু হবে। বিএমএমসিসি’র ইসলামিক স্কুলকে এগিয়ে নিতে অভিভাবকদের সহযোগীতা কামনা করেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র শিক্ষক মমতাজুল করীম, অভিবাবক সাংবাদিক মুহাম্মদ আরীফ হোসাইন, মাওলানা রুহুল আমীন ও তাবাসসুম আক্তার প্রমুখ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর আবুল বাশার মুহাম্মদ সমাছুদ্দীন, ড.জাহাঙ্গীর কবির, হিফজ শাখার প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাওলানা বুরহান উদ্দিন, শিক্ষক হাফেজ মিজানুর রহমান, হাফেজ মাহবুব উদ্দিন, ইসলামিক স্কুলের অফিস ম্যানেজমেন্ট আমিনুর রহমান, শিক্ষক মাওলানা আবদুল মান্নান ও হাফেজ মুহাম্মদ রাসেলসহ বিপুল সংখ্যক অভিভাবক।
উল্লেখ যে বিএমএমসিসি ইসলামিক স্কুলে দক্ষ ও যোগ্যতা সম্পন্ন ১২জন শিক্ষক-শিক্ষকা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানে সর্বাদা ব্যতিব্যস্ত রয়েছেন।
গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রাম শেষে স্কুলের পক্ষ থেকে সবাইকে দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হয়।