রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


সব মহাসড়কেই তীব্র যানজট, বাড়িফেরা মানুষের ভোগান্তি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সবগুলো মহাসড়কে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে বাড়ি ফেরা মানুষজন।

মঙ্গলবার সকালে মেঘনা-গোমতী সেতু থেকে দাউদকান্দির হাসানপুর পর্যন্ত তিন কিলোমিটারজুড়ে শত শত গাড়ি আটকে আছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

রোববার রাত ১২টার পর শুরু হওয়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের এ যানজট সোমবার বিকাল ৫টা থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত প্রায় একই চিত্র চোখে পড়ে। তবে সকাল থেকে থেমে থেমে গাড়ি চলতে দেখা গেছে।

বিভিন্ন বাসের যাত্রীরা জানান, দীর্ঘক্ষণ বাসে বসে আছেন তারা। কিন্তু বাস একটু নড়ছে না।

এ ব্যাপারে দাউদকান্দি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন বলেন, ওজন পরিমাপক যন্ত্রের ধীর গতির কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসনে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

চন্দ্রা থেকে মির্জাপুর পর্যন্ত দীর্ঘ সারি

ভাঙ্গাচোরা রাস্তায় যানজটের কবলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক। টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় যেতে দেড় ঘন্টার পথ পারি দিতে সময় লাগছে ৫-৭ ঘণ্টা। দীর্ঘ দিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে মহাসড়কের অধিকাংশ স্থান থেকে পিচ ঢালাই উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এক দিকে বৃষ্টি অপর দিকে ভাঙ্গাচোরা রাস্তায় যানজটের কারণে যাত্রীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েটে গিয়ে দেখা দেখা গেছে, ভাঙ্গাচোরা রাস্তায় যানবাহন ধীরগতিতে চলছে। মহাসড়কের কালিয়াকৈরের চন্দ্রা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার মহাসড়ক এখন খানা খন্দকে ভরা।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, যানজটের মুল কারণ এ মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ভাঙ্গাচোরা রাস্তা ও অসংখ্য খানা খন্দক ও ভাঙ্গাচোরা ব্রিজ ।এছাড়া চার লেনের কাজ হলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং চারলেনের কাজে নিয়োজিত দুইটি কোম্পানির মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভাবে এ রোডে প্রতিনিয়তই যানজট হচ্ছে।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল আলম বলেন, টানা বৃষ্টি থাকার কারণে ভাঙ্গাচোরা রাস্তা মেরামত করতে একটু বিলম্ব হয়েছিল।এখন আবহাওয়া ভালো হওয়ায় মেরামতের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ