দুজন নারী শিষ্যকে ধর্ষণের দায়ে ভারতের বিতর্কিত ধর্মীয় গুরু গুরমিত রাম রহিম সিং-কে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত।
এরপর তার অনুসারীরা যে বিক্ষোভ শুরু করে, তাতে অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়। তার প্রায় ৪০ হাজার অনুসারী জমায়েত হয়েছে হরিয়ানার সিরসা শহরে তার প্রধান আশ্রম, 'ডেরা সাচ্চা সওদা'য়।
সেই আশ্রমে গিয়েছিলেন বিবিসির জাস্টিন র্যোলাট। প্রথমেই সেখানে তাদের ঢুকতে বাধা দেন একদল অনুসারী। সাংবাদিক পরিচয় দিয়েও কোন সুবিধা হয়নি। তবে পরে একজন কর্মকর্তার সহায়তায় তারা ভেতরে প্রবেশ করতে পারেন।
এখানে একটি হাসপাতাল রয়েছে, যেখানে স্থানীয় লোকজন বিনামূল্যে চিকিৎসা পান। রয়েছে একটি রিসোর্ট, একটি হোটেল, বিশাল একটি অডিটোরিয়াম, যেখানে অনুসারীদের জন্য গানবাজনা, সেমিনারসহ নানা অনুষ্ঠান করেন রাম রহিম সিং।
কে এই রকস্টার বাবা গুরু রাম রহিম ?
ভেতরেই রয়েছে খাবারদাবারের আয়োজন। এখনো এখানে ৪০ হাজার ভক্ত-অনুসারী অবস্থান নিয়ে রয়েছে। তাদের সব আয়োজনও ভেতরেই হচ্ছে।
একটু দূরেই রয়েছে ধ্যান কক্ষ। আর তার পাশে অনেকটা রাজকীয় একটি ভবন, যেখানে গুরু বসবাস করেন।
একজন কর্মকর্তা বলছিলেন, এটা হচ্ছে শহরের মধ্যে আরেকটি শহর। এখানে একটার পর একটা নিরাপত্তা বেষ্টনী আছে। সংবাদদাতা শুধুমাত্র তার একটি নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভেতরেই ঢুকতে পেরেছেন।
ভেতরে একটি সিনেমা হল, খেলার মাঠ আর স্কুলও আছে বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
সহিংসতা শুরু হওয়ার পর পুরো কমপ্লেক্সটি ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশের পাশাপাশি রয়েছে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।
এই মন্দিরসহ গুরুর সব সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দেয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষকে।
কিন্তু তার অনুসারীরা এই মন্দির ছাড়তে রাজি নয়। ফলে উত্তর ভারতের এই শহরে প্রায় ৪০ হাজার অনুসারী আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন প্রায় মুখোমুখি অবস্থায় রয়েছে।
সূত্র: বিবিসি