সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


ঈদের রাতের আমল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতি হেলাল উদ্দীন হাবিবী

ঈদ অর্থ: উৎসব, পূণরাগমন, পূণরাবৃত্তি, বার বার ফিরে আসা ইত্যাদি। উৎসবের এ বিশেষ দিবস যেহেতু প্রতি বছর আমাদের মাঝে নতুনভাবে ফিরে আসে, তাই একে ঈদ বলা হয়। প্রতিটি জাতিগোষ্ঠি ও সম্প্রদায়ের আনন্দ-উৎসব উদযাপনের নির্দিষ্ট দিবস রয়েছে; মহান আল্লাহ তা’আলা মুসলমানদের আনন্দ উদযাপনের জন্য দু’টি দিবস দান করেছেন। এ দিবসে বিশ্ব মুসলিম সকল ভেদাভেদ ভ‚লে গিয়ে শামিল হয় আনন্দের বিশেষ মোহনায়। ঈদের আগমনে আনন্দিত হয় না, এমন মুসলমান খুজে পাওয়া দুষ্কর। তাই এ কথা সর্বোজনবিধিত যে, ঈদ বিশ্ব মুসলমানের সার্বজনিন উৎসব।

প্রিয় পাঠক! যে বান্দা শত আনন্দের মাঝেও আল্লাহ তা’আলাকে ভুলে না; বরং ইবাদত তথা নামায, যিকির, দুআর মাধ্যমে অশ্রুসিক্ত নয়নে মহান স্রষ্টার দরবারে হাযির হয়। দয়াময় আল্লাহ তাকে মাগফিরাতের চাদরে আবৃত করে জিন্দেগীর গুনাহসমূহ মাফ করে দেন এবং তার জন্য ঘোষণা করেন চির শান্তির নীড় জান্নাতের সুসংবাদ। হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রা. হতে বর্ণিত, প্রিয়নবী সা. ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি পাঁচটি রাত ইবাদতের মাধ্যমে অতিবাহিত করে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। ৮ই জিলহজ্জের রাত, আরাফাতের রাত, ঈদুল আযহার রাত, ঈদুল ফিতরের রাত এবং ১৫ই শা’বানের রাত। (তারগীব ও তারহীব)

হযরত আবু উমামা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর তা’আলার সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় দুই ঈদের রাতে জাগরণ (ইবাদত-বন্দেগী) করবে; তার ক্বালব ওই (কিয়ামতের) দিনেও মরবে না, যে দিন (ভয়ঙ্কর ও ভীবিষিকাময় পরিস্থিতির কারণে) মানুষের অন্তর সমূহ মারা যাবে। (ইবনে মাজাহ)

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সা. ইরশাদ করেন, ৫টি রাতের দু’আ কখনও ফিরিয়ে দেয়া হয় না। রাতগুলো হল- জুমআর রাত, রজব মাসের প্রথম রাত, শাবান মাসের ১৫তারীখের রাত, ঈদুল ফিতরের রাত ও ঈদুল আজহার রাত।

এ ছাড়াও আরো অসংখ্য হাদীস দ্বারা ঈদের রাতের ফজিলত ও তাৎপর্য অকাট্য ভাবে প্রমানিত। সঙ্গত কারণেই মুমিনের জীবনে ঈদের রাতের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য হল, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা তথা উভয় ঈদের রাতে জাগ্রত থেকে নামাজ, যিকির, তিলাওয়াত ও দু’আর মাধ্যমে মহান প্রভুর সন্তুষ্টি, সান্নিধ্য ও মাগফিরাত কামনা করা। দয়াময় প্রভুর কুদরতি কদমে অশ্রু বিসর্জন দিয়ে নিজের অপরাধসমূহ মার্জনা করিয়ে নেওয়া এবং কলুষমুক্ত অবস্থায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে সবাইকে নিয়ে ঈদের আনন্দ উদ্যাপন করা। লেখক পরিচিতি : প্রিন্সিপাল, মারকাযুল উলূম আজিজিয়া মাদরাসা, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা

-এজেড


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ