মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নিপিড়নের ফলে সেখানকার অধিবাসীরা বিদ্রোহ করতে শুরু করেছে। এতে এ পর্যন্ত ৫৯ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়। পাশাপাশি এই বিদ্রোহে ১২ সেনাও নিহত হয়েছেন। খবর আরব নিউজের
পুলিশ বলছে, বিদ্রোহীরা ৩০টি পুলিশ পোস্টে হামলার ঘটনা ঘটায়। এক রাতের মধ্যে ২৪টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ছাউনিতে বিদ্রোহীদের হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর ১১ জনসহ ৩২ জনের প্রাণহানির পর শুক্রবার সকাল থেকে সংঘর্ষ ও সহিংসতা চলতে থাকায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছে।
রয়টার্স বলছে, এ পর্যন্ত ৩০টি পুলিশ পোস্টে হামলা হয়েছে, যাতে ৫৯ জন রোহিঙ্গা বিদ্রোহীর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১২ সদস্য নিহত হয়েছে। রাখাইনের মংডু ও বুথিডং এলাকার বিভিন্ন গ্রামে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে সমন্বিত এই হামলার সূচনা হয় বলে শুক্রবার মিয়ানমার সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়।
রাখাইনের পরিস্থিতি নিয়ে কফি আনান কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বড় ধরনের এই সমন্বিত হামলার ঘটনায় সঙ্কট নতুন মাত্রা পেল।
হামলায় নিহত নিরাপত্তা বাহিনীর ১২ সদস্যের মধ্যে ১০ জন পুলিশ, এক সেনা সদস্য এবং একজন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা রয়েছেন বলে জানায় রয়টার্স।
মিয়ানমার সরকারের বিবৃতির বরাত দিয়ে মিজিমার খবরে বলা হয়, রোহিঙ্গা গেরিলাদের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসী ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশ পোস্ট ঘিরে ফেলে এই হামলা চালায়। তাতে পাঁচ পুলিশ সদস্য এবং অন্তত সাতজন হামলাকারী নিহত হন। ভোর ৩টার দিকে প্রায় দেড়শ হামলাকারী খামারা এলাকায় একটি সেনা ক্যাম্পে ঢোকার চেষ্টা করলেও প্রতিরোধের মুখে পিছিয়ে যায় বলে জানানো হয়েছে সরকারের বিবৃতিতে।
এদিকে নতুন করে রোহিঙ্গাদের উপর নিপিড়নের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান। তিনি নিরিহ রোহিঙ্গাদের উপর এ হামলা বন্ধ করে তাদের নাগরিকত্ব দেয়ার আহ্বান জানিছেন।
এর আগে গত অক্টোবরে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে রাজ্যটিতে মুসলিম নিধন শুরু হয়। এতে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা ঘরবাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশের টেকনাফে আসেন। ওই অভিযানে বেসামরিক রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যা, গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া এবং ধর্ষণের মত অভিযোগ রয়েছে।
আরাকানে ফের দাঙ্গা; ৭ রোহিঙ্গা নিহত