সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


আফগানিস্তান হবে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক গোরস্থান: ট্রাম্পকে তালেবানের হুমকি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : আফগানিস্তান থেকে হুট করে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার করা হলে একটা শূন্যতা তৈরি হবে। এটি তখন জঙ্গিদের জন্য সুযোগ করে দেবে ওই শূন্যস্থান পূরণ করার। এ কারণে সেনা প্রত্যাহারের বদলে ‘জয়ী হওয়ার লড়াই’ চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এদিকে এ ঘোষণার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তালেবান জানিয়েছে, আফগানিস্তান হবে যুক্তরাষ্ট্রের ‘আরেক গোরস্থান’, যদি না শিগগিরই তারা সেনা প্রত্যাহার করে।

নির্বাচনী প্রচারাভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি আফগান যুদ্ধ থেকে সরে আসার কথা বললেও এখন সুর বদলালেন ট্রাম্প। এখন তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটিতে সেনা উপস্থিতি বাড়ানোর। কিন্তু ঠিক কীভাবে তা করা হবে, তা খোলাসা করে বলেননি তিনি।

ভার্জিনিয়ার আর্লিংটনে ফোর্ট মায়ারে গত সোমবার দেওয়া ভাষণে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আফগানিস্তানে আমরা জয়ী হতে লড়াই করব।’ তিনি আরও বলেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের কোনো সময়সীমা এখনই তিনি দেবেন না।

এর আগে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পক্ষে ছিলেন, তা স্বীকার করে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, সেনা প্রত্যাহার মার্কিন সেনাদের জন্য অসম্মানের হবে, যাঁরা কিনা আফগান যুদ্ধে মারা গেছেন এবং এটি দেশটিতে একটি শূন্যস্থান তৈরি করবে, যা জঙ্গি নেটওয়ার্কগুলোকে বিস্তৃত হওয়ার সুযোগ করে দেবে।

এদিকে ট্রাম্পের ভাষণের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বেপরোয়া এক বিবৃতি দিয়েছে তালেবান। এতে বলা হয়, ট্রাম্পের কথায় মনে হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র চায় না সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের সমাপ্তি হোক।

যদিও ট্রাম্পের বক্তব্যকে সাদরে গ্রহণ করেছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। তিনি বলেন, আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের উদ্যোগে এবং সন্ত্রাসের হুমকি থেকে এই অঞ্চলকে মুক্ত করার যৌথ লড়াইতে সহযোগিতা করে যাওয়ার প্রত্যয় ট্রাম্প ব্যক্ত করেছেন।

এএফপির খবরে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন ন্যাটোপ্রধান জেনস স্টোলেনবার্গ। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তান যাতে আবার সন্ত্রাসীদের নিরাপদ স্বর্গ হতে না পারে, এটাই আমাদের লক্ষ্য।’ বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গেছে, ওয়াশিংটন আফগানিস্তানে আরও চার হাজার সেনা পাঠাতে পারে।

-এজেড


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ