১৭ বছর আগে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১০ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত।
এছাড়া একই ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ধারায় নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম রোববার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত ২৫ জন আসামির মধ্যে হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে অন্য একটি মামলায়। এ কারণে তার নাম এ মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
২০০০ সালের ২০ জুলাই কোটালীপাড়ার একটি স্কুলের পাশে তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের জন্য মঞ্চ নির্মাণের সময় মাটিতে পুঁতে রাখা ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পাওয়া যায়। পরদিন ৮০ কেজি ওজনের আরও একটি বোমা উদ্ধার করা হয় কোটালীপাড়ার হেলিপ্যাড থেকে।
তার এক দিন পর নিজের নির্বাচনী এলাকায় দাদার নামে প্রতিষ্ঠিত ওই কলেজ মাঠে জনসভায় শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল।
ওই ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার পুলিশ বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেছিলেন।
তদন্ত শেষে ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা সিআইডি। এরপর ২০১০ সালে গোপালগঞ্জ আদালত থেকে মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
আবারও ইসরাইলি সেনার গুলিতে ফিলিস্তিনি কিশোর নিহত