আওয়ার ইসলাম : কাতার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ইমাম ও খতিব মাওলানা ইউসুফ নূর বলেছেন, প্রতি বছর নফল হজ ও উমরা করার চেয়ে দুঃস্থ মানবতার সেবায় অর্থ ব্যয় করার সওয়াব অনেক বেশি। বিত্তবান মুসলমানরা এ ব্যাপারে সচেতন হলে দরিদ্র দেশবাসী উপকৃত হবে এবং আল্লাহও সন্তুষ্ট হবেন।
কাতার আল নূর কালচারাল সেন্টার আয়োজিত হজের তাৎপর্য ও জিলহজের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ মতামত ব্যক্ত করেন।
গত ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় ফানার ইনস্টিটিউটে নির্বাহী সদস্য রাকীবুল ইসলামের উপস্থাপনায় ও মাওলানা গোলাম রব্বানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও আলোচনা করেন আল নূর শিক্ষা বিভাগীয় পরিচালক মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী সদস্য মাওলানা নুরুল আমীন ও সংস্কৃতি বিভাগের সদস্য চৌধুরী ফজলে রাব্বী।
উপস্থিত ছিলেন আল নূর গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক আমীনুল হক ও আল নূর উপদেষ্টা ও প্রখ্যাত ব্যাংকার মীর হোসেন চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ শাহাদাত হোসেন।
মহিলা কর্নারে আলোচনা করেন আল নূর মহিলা বিভাগের সহকারী পরিচালক হাফেজ মাওলানা মাহমুদা নুরুল আমীন।
মাওলানা ইউসুফ নূর বলেন, মুসলমানদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে হজ এক তাৎপর্যপূর্ণ ইবাদত। হাজীরা আল্লাহর অতিথি ও প্রতিনিধি। হজের মূল অনুষ্ঠান আরাফায় অবস্থান। মানবজাতির ইতিহাসে আরাফার দিন ও আরাফাতের ময়দান উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ। এ দিনে এই প্রান্তরের 'নামান' উপত্যকায় আল্লাহ সব মানবাত্মাকে একত্রিত করে তাদের নিকট থেকে স্বীয় প্রভূত্বের অঙ্গীকার আদায় করেছিলেন।
কুড়িগ্রামে বন্যার্তদের খাবার দিচ্ছে কয়েকটি কওমি মাদরাসা
আবার একই দিনে এ প্রান্তরের জাবালে রহমতের পাদদেশে অবতীর্ণ হয় সেই অমর ঐশী ঘোষণা ‘আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম, তোমাদের জন্য আমার নেয়ামত সবটুকু দিয়ে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জীবন বিধান হিসেবে মনোনীত করলাম।’
মাওলানা নুরুল আমীন বলেন, হজ করে কেউ দরিদ্র হয় না। বরং হজের কল্যাণে অনেক মানুষের অভাব দূর হয়ে তাদের জীবনে আর্থিক স্বচ্ছলতা এসেছে।
চৌধুরী ফজলে রাব্বী বলেন, শুধু বই পড়ে শুদ্ধভাবে হজ করা সম্ভব নয়। বরং দক্ষ ও নিষ্ঠাবান উলামা মাশায়িখ থেকে যাবতীয় বিধান ও নিয়ম নীতি শিখে ও তাদের নিবিড় সান্নিধ্যে থেকে হজ করা একান্ত প্রয়োজন।
‘জিলহজ্জের প্রথম দশকের ফজিলত ও করণীয়’ বিষয়ে আলোকপাত করে মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ পুণ্যময় দশকে অধিকহারে নফল নামাজ, তিলাওয়াত, সদকা, নফল রোজা, কোরবানি ও অন্যান্য ইবাদতে মনোনিবেশ করা চাই। সভাপতির মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।