পর্যটন স্থানগুলোর জনপ্রিয়তার সাথে সাথে বেড়ে চলেছে খরচও। এখন কোথাও যাবার নাম নিলেই খরচের চিন্তাটাই সবার আগে মাথায় আসে। কক্সবাজার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। প্রতিবছর শুধু ডিসেম্বর মাসেই ৪০ লাখ পর্যটক আসে কক্সবাজারে। কিভাবে গেলে এখনও কম খরচে কক্সবাজার ভ্রমণ করতে পারবেন তারজন্য কিছু টিপস:
১. নন-এসি বাসে রাতে ভ্রমণ করুন। রাতের তাপমাত্রা সাধারণত একটু কম থাকে। এছাড়া রাতে ভ্রমণের কারণে এক রাতের হোটেল ভাড়া বেঁচে যাবে। নন-এসির ক্ষেত্রে ইউনিক পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন দেখতে পারেন, এদের সিট এবং ড্রাইভাররা ভালো।
২. সাধারণ ট্রাভেল ব্যাগের পরিবর্তে ব্যাপকপ্যাক মানে পিঠে ঝুলানো যায় এমন ব্যাগ বহন করুন। সাধারণত ট্রলি ধরণের ব্যাগ ব্যবহারের কারণে আপনার চলাচলের সীমাবদ্ধতা তৈরী হয়। ফলে অপ্রয়োজনীয় খরচ বেড়ে যায়।
৩. বীচ থেকে কিছুটা দূরে হোটেল ঠিক করবেন। গলির ভিতরে হলেও কোন সমস্যা নেই। প্রথমে একজন যেয়ে দরাদরি করে রুম ঠিক করুন, পরে বাকীদের ডেকে আনুন। ভাড়া অর্ধেক হয়ে যাবে। রিক্সাওয়ালা, অটো/সিএনজি চালকদের পরামর্শে হোটেল নিবেন না, কারণ তারা হোটেল থেকে কমিশন পেয়ে আপনাদের বিভ্রান্ত করবে।
৪. বীচ থেকে হেঁটে হেঁটেই আসা যাওয়া করুন। রিকশা বা অটো নিতে হলে দরদাম করে উঠুন।
৫. খাবারের ক্ষেত্রে কয়েকজন থাকলে মূল আইটেম গুলো ভাগ করে খান। উদাহরণ: ৪ জনের জন্য ১. ভাত ৪ টা (১২০ টাকা) ২. হাফ মিক্সড ভাজি-ভর্তা (৮০ টাকা) ৩. লইট্যা মাছ ১ টা (১২০ টাকা) ৪. ডাল ১ টা (৩০ টাকা)
৫. গরু/মুরগী/মাছ ১ টা (১২০ টাক) সব মিলে গড়ে প্রায় ১২০ টাকা করে প্রতিজন।
৬. ভুলেও রপচান্দা বা চিংড়ি মাছ অর্ডার করবেন না।
৭. হিমছড়ি যেতে হলে কলাতলি মোড় থেকে লোকাল অটোতে উঠে যান। ২০ টাকা করে ভাড়া। আর ৫/৬ জন হলে একটা দরাদরি করে একটা অটো ঠিক করে নেন।
৮. কলাতলি মোড় থেকে লোকাল অটো বা জীপে করে ইনানিও যেতে পারেন। এক পথে খরচ পড়বে ৫০-৬০ টাকা।
৯. রাতে গাড়ী থাকলে দুপুরের আগে চেক আউট টাইম অনুসারে হোটেল ছেড়ে দিন। হোটেল কর্তৃপক্ষকে বলে আপনার ব্যাগ হোটেলে চেক আউট লাগেজ হিসেবে রাখার ব্যবস্থা করে আপনি ঘুরে বেড়ান।
১০. যদি সম্ভব হয় কর্মদিবস গুলোতে যাবেন (রবি থেকে বৃহস্পতি), সে সময় ভিড় কম থাকবে, হোটেল ভাড়াও কম থাকে। দু্ই ঈদের আগে পরে, তিন দিনের বন্ধ, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ এগুলো এড়িয়ে যাবেন। আপনার বাজেট কম এ জন্য কখনোই লজ্জা পাবেন না বা বিব্রত হবেন না। স্বল্প বাজেট নিয়ে আপনি দেশ দেখতে বের হচ্ছেন/সাহস করছেন সেটা গর্বের বিষয় লজ্জার নয়। এক সময় হয়ত আপনার টাকা হবে কিন্তু ঘোরার সময় থাকবেনা।
-এজেড