আওয়ার ইসলাম : কাতারের বিরুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন অবরোধ অব্যাহত থাকলেও পবিত্র হজকে কেন্দ্র করে সৌদি বাদশার এক আকস্মিক ঘোষণায় পরিস্থিতি অনেকখানি বদলে গেছে। চলতি বছর বিনা খরচায় কাতারিরা হজের সুযোগ পাচ্ছেন।
স্থলপথে কাতার থেকে আগত হজযাত্রীদের জন্য সালওয়া সীমান্তপথ খুলে দিতে আদেশ দিয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। সৌদি আরবের সঙ্গে কাতারের আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় বিশেষ বিমান পাঠিয়ে দোহা বিমানবন্দর থেকে কাতারি হজযাত্রীদের জেদ্দায় নিয়ে আসারও নির্দেশ দিয়েছেন বাদশাহ সালমান। পাশাপাশি যেসব কাতারি হজযাত্রী নিজ ব্যবস্থায় অন্য দেশের এয়ারলাইনসে সৌদি আরবের দাম্মাম ও এহসা বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন, তাঁদের নিজ অতিথি হিসেবে মক্কা-মদিনায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য সৌদি বাদশা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলে দিয়েছেন।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ ও আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর সব কাতারি হজযাত্রী সৌদি বাদশাহর খরচে অতিথি হিসেবে হজ পালন করবেন। তাঁরা সবাই বাদশাহ সালমানের হজ ও ওমরাহ কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হিসেবে গণ্য হবেন।
কাতার থেকে হজে যেতে ইচ্ছুক অভিবাসী হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে সৌদি বাদশার সবশেষ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। অন্যান্য বছরের মতো এবারও কাতার থেকে ৯০০ কাতারি এবং ৩০০ অভিবাসীর হজ করতে যাওয়ার কথা।
সৌদি বাদশার ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় কাতারের স্থানীয় দৈনিক আল আরবের সম্পাদক বলেছেন, বিবেকের ডাকে সাড়া দিয়ে হজকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করতে দাবি জানিয়ে আসছিল কাতার। এখন সৌদি বাদশার ঘোষণার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, এত দিন কাতার থেকে হজে যেতে ইচ্ছুক কাতারি ও অভিবাসী হাজিদের জন্য প্রতিবন্ধকতা ছিল।
কাতারি হজযাত্রীদের ব্যাপারে সৌদি আরবের সিদ্ধান্তের পেছনে গত কয়েক দিনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন কাতারের দূত শেখ আবদুল্লাহ বিন আলী আলথানি। সবশেষ তিনি সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন। সৌদি-কাতারের ঐতিহাসিক সম্পর্কের ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। সম্প্রতি কাতারি হজযাত্রীদের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা সৌদি কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেছিল।
-এজেড