রাজধানীর বনশ্রীতে গৃহকর্মী লাইলী হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার তিন আসামিকে ৩দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম মাইন উদ্দিন জামিন আবেদন বাতিল করে এ আদেশ দেন। এর আগে দুপুরে খিলগাঁও থানা পুলিশ আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠান। খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল হাসান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই বাড়ির মালিক মুন্সী মইনুদ্দিন ও দারোয়ান তোফাজ্জলকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার (০৫ আগস্ট) সকালে গৃহকর্তী শাহনাজ বেগমকে গ্রেফতার করা হয়।
দুপুরে ওই তিন আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যেকের ১০দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে মইনউদ্দিনের বাসায় কাজ করতে গেলে তাদের একটি রুম থেকে লাইলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে খুন করা হয়েছে এমন অভিযোগে বনশ্রীর বাসিন্দারা ওই বাড়িটিতে হামলা চালায়। খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষ, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক একটি মামলা দায়ের করেছে।
মামলার এজাহারে অজ্ঞাতনামা ৩ থেকে ৪শ জন আসামি উল্লেখ করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে লাইলীর স্বামী নজরুল ইসলামের বড় ভাই শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে এই ৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
খিলগাঁও থানার ওসি কাজী মইনুল হাসান বলেন, ওই বাসার কোনো ভাড়াটিয়াদের বাড়ি ছাড়তে বলা হয়নি। তারা স্বেচ্ছায় বাসার ছেড়ে যেতে পারে, সেটি আমাদের দেখার বিষয় না। আমরা নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে দায়েকরা হত্যা মামলার তদন্তের বিষয়ে কাজ করছি। এদিকে, বাড়িটর সামনে এখনও উৎসুক জনতা ভিড় করে আছে। কিছুক্ষণ পর পর পুলিশ তাদের সরিয়ে দিলেও আবার জড়ো হতে দেখা যাচ্ছে।
বনশ্রীতে গৃহকর্মী হত্যা; এলাকাবাসীর বিক্ষোভ; গৃহকর্তা ও দারোয়ান আটক