আতাউর রহমান খসরু : মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। ইসলামি রাজনৈতিক অঙ্গণের পরিচিত মুখ। যুক্ত আছেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনীতির সাথে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রার্থীদের একজন তিনি। নির্বাচন করবেন গাজীপুর-২ আসন থেকে।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমানের জন্ম গাজীপুরের কালীগঞ্জে ১৯৭৩ সালে। তিনি ১৯৯২ সালে ঢাকা জামিয়া ইসলামিয়া মাদানিয়া, যাত্রাবাড়ী থেকে দাওরা হাদিস সম্পন্ন করেন। ১৯৯৪ সালে ঢাকা আলিয়া থেকে কামিল এবং ১৯৯৭ সালে ঢাকা ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাস্টার্স করেন।
১৯৮২ সালে হজরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. রাজনীতির ডাক দিলে তিনি ইসলামি রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হন এবং তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যোগ দান করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি ছাত্র তানজিমের মাধ্যমে সাংগঠনিক রাজনীতি শুরু করেন।গাজী আতাউর রহমান তানজিমের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক পদে দায়িত্বও পালন করেন।
১৯৯১ সালে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের প্রতিষ্ঠিাকালে তিনি তার আহবায়ক সদস্য নির্বাচিত হন। ইশা ছাত্র আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক, কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালনের পর ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ৩ সেশনে ৫ বছর কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি দুই বছর ঢাকা মহানগরের দায়িত্ব পালন করে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত হন। বর্তমানে তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ১৯৯৬ সালে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী হিসেবে গাজীপুর থেকে মিনার প্রতীকে নির্বাচন করেন। জাতীয় নির্বাচনে একবার অংশগ্রহণ করলেও তিনি প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের সময় দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রীয় ভূমিকা পালন করেন।
দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা আলোকে এবার তিনি প্রায় দু’বছর পূর্ব থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করেছেন বলে আওয়ার ইসলামকে জানিয়েছেন।তিনি বলেন, ‘আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় অনেক আগ থেকে প্রস্তুতিমূলক কর্মকণ্ড শুরু করেছি। আল হামদুলিল্লাহ! আমার এলাকায় আগ থেকেই ওয়ার্ড পর্যায়ে মূল সংগঠন ও অঙ্গ সংগঠনের শাখা কমিটি রয়েছে। আমি সেগুলোকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকার তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত যোগাযোগ আছে। তারা নির্বাচনের ব্যাপারে আগ্রহী এবং স্থানীয় পর্যায়ে তারা গণসংযোগমূলক কাজ শুরুও করেছে। যেমন এলাকায় সাংগঠনিক প্রোগ্রামের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে, এলাকাবাসীর সঙ্গে সুভেচ্ছা বিনিময় হচ্ছে, পরিবার ও পরিচিতদের মধ্যে এখন থেকে প্রচারণা কাজ হচ্ছে।’
এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে আপনার ব্যক্তিগত যোগাযোগ কোন পর্যায়ে রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এলাকার মানুষের সাথে ভালো একটা যোগাযোগ আমি রক্ষা করার চেষ্টা করি। কিন্তু আপামর জনসাধারণের সাথে যোগাযোগ রাখা সম্ভব হয়ে ওঠে না কেন্দ্রীয় দায়িত্বের কারণে।’
আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী কার্যাক্রম কবে শুরু করছেন? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি হজে যাচ্ছি। হজের সফর শেষেই পুরোদমে প্রচার প্রাচরণা ও গণসংযোগের কাজ শুরু করবো।’
ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-৫ আসনে ঐক্যজোট প্রার্থী মাওলানা মেহেদী হাসান