সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


হিজাব পরার অপরাধে নাগরিকত্ব হারানো তুর্কি নারী এখন রাষ্ট্রদূত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : হিজাব পরার অপরাধে নাগরিকত্ব হারানো এক তুর্কি নারীকে রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ দিয়েছে তুরস্ক সরকার। তুর্কি সে নারীর নাম  মারওয়া কাওকাজি। তুর্কি সরকার তাকে মালয়েশিয়ার তুর্কি রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছে।

তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য মারওয়া কাওকাজিকে তুর্কি মন্ত্রীপরিষদ কর্তৃক নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়ার পর মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসাবে নিয়োগ দেন।

১৯৬৮ সালে জন্ম নেয়া এই নারী হিজাব বিরোধী আইনের কারণে মেডিকেলের ২য় বর্ষে থাকাকালীন আংকারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাড়তে বাধ্য হন।

তারপর যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস ভার্সিটির কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগ হতে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন।

ফিরে এসে তুর্কি রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে ১৯৯৯ সালে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু হিজাব পরার কারণে পার্লামেন্ট হতে বহিষ্কারের পাশাপাশি ৫ বছরের জন্য তাকে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করা হয় এবং তুর্কি নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হয়।

এরপর তিনি আবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান এবং হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি হতে পাবলিক এডমিনিষ্ট্রেশনে মাষ্টার্স ও পলিটিক্যাল সায়েন্সে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন।

পরবর্তী সময়ে হার্ভার্ড ও জর্জ ওয়াশিংটন ভার্সিটির রাজনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হন। কাওকাজি আমেরিকার জর্জ টাউন ভার্সিটি হতে প্রকাশিত সেরা ৫০০ ইসলামিক ব্যক্তিত্বের অন্তর্ভূক্ত হন এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষ্ণাঙ্গ উন্নয়ন বিষয়ক ন্যাশনাল অথোরিটি ও ওয়াশিংটন ভার্সিটির ‘দায়িত্বপূর্ণ নারী’ এর পুরষ্কার পান।

কাওকাজির উল্লেখযোগ্য কিছু বইঃ রাজনীতির খেলা, হিজাববিহীন গণতন্ত্র ও ইতিহাসের ভেতর ইতিহাস।

তুর্কি প্রেস থেকে মুহাজিদুল ইসলামের অনুবাদ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ