বরিশালের জেলা প্রশাসক গাজী মো. সাইফুজ্জামান ও বরগুনার জেলা প্রশাসক বশিরুল আলমকে অপসারণ করা হয়েছে।
সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোজাম্মেল হক খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জানা গেছে, প্রত্যাহারের কার্যক্রম গতকাল থেকেই চলছিল। আজ প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবে সায় দেয়ায় তাদের প্রত্যাহারের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
তারিক সালমনকে হয়রানির ঘটনায় বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি এই দুই জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহারের দাবি উঠেছিল।
এদিকে ইউএনও তারিক সালমনের ঘটনা খতিয়ে দেখতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত একজন সচিবের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্য এ কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। তদন্ত কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন- জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ এবং প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের একজন করে প্রতিনিধি।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ কথা জানান।
স্বাধীনতা দিবসের আমন্ত্রণপত্রে শিশুদের আঁকা ছবি ছাপানোর ঘটনা নিয়ে আদালতের আগে গত এপ্রিলে প্রশাসন ক্যাডারের দুই কর্মকর্তা বরিশালের তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনার মো. গাউস এবং বর্তমান জেলা প্রশাসক গাজী মো. সাইফুজ্জামান গাজী তারিক সালমনের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। প্রথমে তারিক সালমনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন বরিশালের জেলা প্রশাসক। তারিক নোটিশের জবাবও দেন। পরে এই জবাব পাঠানো হয় বিভাগীয় কমিশনারের কাছে। কিন্তু বিভাগীয় কমিশনার নোটিশ সন্তোষজনক নয় মর্মে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সেটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠান।
ফিলিস্তিন নিয়ে মুহিব খানের ছড়া; লজ্জিত হও!