আওয়ার ইসলাম : এই সময় এসেও যদি আমাদেরকে কুসংস্কারে পরে থাকতে হয় তাহলে বোধ করি কিছুই বলার থাকে না। কারণ বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এখনও পিছিয়ে রয়েছি আমরা। প্রায় সময়ই দেশের প্রতন্ত অঞ্চল থেকে উদ্ভট সব খবর আসে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর কল্যাণে মুহূর্তেই খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। তেমনি এক খবর পাওয়া গেল সম্প্রতি। জীবীত মানুষকে মাটিতে পুতে চলছে তার চিকিৎসা। ভাবা যায় বিষয়টা। হ্যাঁ সম্প্রতি এমন সংবাদই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলো।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে একজন বৃদ্ধকে মাটির ভেতর পুতে তার পক্ষাঘাতের চিকিৎসা করা হচ্ছে। যা শুধুমাত্র একটি কুসংস্কার। তবে ছবির মানুষগুলোর পরিচয় খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে অনেকেই ফেসবুকে শেয়ার করে এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন। আর বলছেন এভাবেও কী প্যারালিসিস রোগির চিকিৎসা করা সম্ভব?
বাংলাদেশের প্রায় গ্রামে এ ধরনের কবিরাজি চিকিৎসা করতে দেখা যায় বলে প্রচলিত আছে। কোন কোন অঞ্চলে রোগিকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুতে রেখে তার চারপাশে গান বাজনা করা হয়। তবে এ ধরনের চিকিৎসার কোনো বিজ্ঞান সম্মত ব্যাখ্যা নেই। এটাকে নিছক কুসংস্কারই বলা যায়।
বলে রাখা ভালো, পক্ষাঘাত বা ইংরাজিতে প্যারালিসিস (Paralysis) একপ্রকার দৈহিক বিকার যাতে মাংশপেশী স্বাভাবিক কাজ করার বদলে দুর্বল বা শিথিল (অথবা প্রকারভেদে আড়ষ্ট) হয়ে থাকে। এতে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অচল হয়ে পঙ্গুত্ব হতে পারে।
পক্ষাঘাত একটি দুটি পেশীতে হতে পারে, এক বা একাধিক অঙ্গে হতে পারে বা পুরো শরীরে হতে পারে। অনেক সময়ই পক্ষাঘাতের সঙ্গে অবশতা অর্থাৎ স্পর্শ অনুভুতির অভাব হতে পারে, কিন্তু সবসময় নয়। পক্ষাঘাত স্বল্পস্থায়ী হতে পারে অথবা দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে। পক্ষাঘাত অন্য রোগের উপসর্গ অথবা একাই একটি ভয়াবহ রোগ হিসাবে হতে পারে, আবার পক্ষাঘাত খুব মৃদু এবং স্বল্পমেয়াদী হতে পারে যা আমরা প্রায় টেরও না পেতে পারি। দেখা গেছে গড়ে পঞ্চাশ জনের মধ্যে একজনের অল্পবিস্তর পক্ষাঘাত আছে।
-এজেড