বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে স্বামীকে আটক রেখে নববধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার অভিযুক্ত ধর্ষক সুমন হোসেন মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। সে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূ নোয়াখালী জেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রামে কাজ করার সুবাদে বানারীপাড়া বেতাল গ্রামের এক অটোচালকের সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরেই প্রেমের সম্পর্ক এবং পরে দুজন বিয়ে করেন।
এটা ছিল তার দ্বিতীয় বিয়ে। তাই স্বামীর বাড়িতে না উঠে ৭-৮ দিন আগে একই গ্রামে স্বামীর নানার বাড়িতে ওঠেন। ঘটনার দিন রাতে খবর পেয়ে সুমন মোল্লা এবং তার সহযোগীরা ওই বাড়িতে গিয়ে মেয়েটি ও তার স্বামীকে ধরে নিয়ে যান।
এ সময়ে তারা ওই দম্পতির কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না পেয়ে ছাত্রলীগ নেতা সুমন ওই নববধূকে ধর্ষণ করে। এ সময়ে তার স্বামীকে তার অন্যত্র আটকে রাখা হয় বলেও এজাহারে উল্লেখ করেন।
বানারীপাড়া থানার ওসি সাজ্জাত হোসেন বলেন, “স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খবর পেয়ে সকাল ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিম ও তার স্বামীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
পরবর্তীতে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন মোল্লার বিরম্নদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগীতা করায় অজ্ঞাতনামা আরো ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষার জন্য আদালতের মাধ্যমে শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এসএস/