শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


কুরআনের পাখিরা কে কোথায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে আছেন কোরআন  তেলাওয়াতের হাজারো নন্দিত শিল্পী। অসাধারণ প্রতিভায় উদ্ভাসিত পবিত্র সুরের  এসব গায়ক পাখির সুললিত কণ্ঠে কোরআনে হাকিমের সৌন্দর্য অনন্য বিভায় ফুটে ওঠে দেশের ভেতরে ও বাইরের দুনিয়ায়। বিগত কয়েক বছরে তাদের কয়েকজন বিশ্বসভায় বাংলাদেশের সম্মানকে তুলে ধরেছেন অনন্য উচ্চতায়। প্রচারবিমুখ এই সোনার ছেলেদের বিভিন্ন সময়ে মিডিয়ার সামনে এনেছে কোরআনের আলো ফাউন্ডেশনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানে’ নামক রিয়েলিটি শো। ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত যেসব হাফেজ কোরআনের বাণী বুকে নিয়ে  প্রথম স্থান অধিকার করেছেন, তাদের নিয়ে আজকের এ আয়োজন।

হাফেজ মোঃ শরিফুল ইসলাম সানি

 

২০০৭ সালের ১৮ মার্চ ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর থানার মানিকদির পল্লীতে জন্মগ্রহণ করে। বাবা নজরুল ইসলাম ও মা পারভীন আক্তার। শরিফুল দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট। বাবা টেক্সটাইল মিলের একজন সাধারণ কর্মচারী এবং মা গৃহিণী। ২০১২ সালে মাদরাসা-ই-নূরুল উলুম, গৌরীপুরে হিফজ শুরু করে। পরে নেত্রকোনার জামালুল কোরআন ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার মোহতামিম হাফেজ কারি আবদুল হালিম সালমানের তত্ত্বাবধানে যোগ্যতম হাফেজরূপে গড়ে ওঠে। এরই ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এবং ২০১৭ সালে মিডিয়াভিত্তিক সর্ববৃহৎ ও বহুল পরিচিত কোরআন তেলাওয়াতের রিয়েলিটি শো বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভিতে প্রচারিত ‘পিএইচপি-কোরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানে’ কেরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে। ভবিষ্যতে তার ইচ্ছা, পবিত্র কোরআন ও হাদিসের জ্ঞান অর্জন করে মহান আল্লাহ তায়ালার দ্বীন প্রচারে নিজেকে নিয়োজিত করা। এজন্য সবার কাছে সে দোয়াপ্রার্থী।

হাফেজ মোহাইমিনুল ইসলাম


পটুয়াখালী জেলার অন্তর্গত বাউফল থানার কারখানা গ্রামের বাবা মোঃ মাসুদ আহম্মেদের ঔরসে ও মা শিরিন আক্তারের গর্ভে জন্ম। মাত্র ১০ বছর বয়সে ঝালকাঠি নেছারাবাদ আযীযিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা থেকে হেফজ সম্পন্ন করে। ২০১৫ সালে হুফফাজুল কোরআন ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় হিফজ প্রতিযোগিতায় ২০ পারা গ্রুপে দ্বিতীয় স্থান এবং ২০১৬ সালে ৩০ পারা গ্রুপে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। ২০১৬ সালে মিডিয়াভিত্তিক সর্ববৃহৎ ও বহুল পরিচিত কোরআন তেলাওয়াতের রিয়েলিটি শো বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভিতে প্রচারিত ‘পিএইচপি-কোরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানে’ কেরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে। এ পুরস্কার অর্জন করায় তাকে ৩ লাখ টাকা নগদ পুরস্কার ও শিক্ষকসহ বাইতুল্লাহ জিয়ারতের সুযোগ প্রদান করা হয়।

হাফেজ মোঃ জুবায়ের আহমাদ নাঈম

২০০৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা থানাধীন গোয়াতলা পল্লীতে বাবা মাওলানা আবুল বাসার মো. আতাউর রহমান ও মা মোসা. নাজমা আক্তারের ঘরে তার জন্ম। ছোটবেলা থেকেই সে অত্যন্ত মেধাবী ও শান্ত প্রকৃতির। জুবায়ের তিন ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয়। বাবা ইমাম এবং মা গৃহিণী। হাফেজ জুবায়ের আহমাদ নাঈম ২০১১ সালে নেত্রকোনা জামালুল কুরআন ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসায় হিফজ শুরু করেন এবং এ মাদরাসার মোহতামিম হাফেজ কারি আবদুল হালিম সালমানের তত্ত্বাবধানে ২০১৪ সালে হিফজ সম্পন্ন করে। ২০১৪ সালেই হুফফাজুল কোরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ আয়োজিত হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করে। ২০১৫ সালে মিডিয়াভিত্তিক সর্ববৃহৎ ও বহুল পরিচিত কোরআন তেলাওয়াতের রিয়েলিটি-শো বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভিতে প্রচারিত ‘পিএইচপি-কোরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানে’ কেরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে। ২০১৬ সালে পিএইচপি কোরআনের আলো ফাউন্ডেশন তাকে পবিত্র ওমরা পালনের সুযোগ করে দেয়। বর্তমানে হাফেজ জুবায়ের ফেনীর জামিয়া রশিদিয়া কওমি মাদরাসায় উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণে অধ্যয়নরত।

হাফেজ মোঃ সাইফুর রহমান ত্বকী

কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানাধীন ডালপা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে ২০০০ সালের ৩১ অক্টোবর তার জন্ম। তার বাবার নাম মাওলানা বদিউল আলম। সে পারিবারিক শিক্ষা শেষে ঢাকার উত্তর যাত্রাবাড়ীর ধলপুর লিচু বাগান হাফিজিয়া নূরানী মাদরাসায় হিফজ শুরু করে। এখানেই সে হেফজ শেষ করে। তারপর উচ্চতর শিক্ষার জন্য ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসায় অধ্যয়ন করে।
২০১৪ সালে মিডিয়াভিত্তিক সর্ববৃহৎ ও বহুল পরিচিত কোরআন তেলাওয়াতের রিয়েলিটি শো বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভিতে প্রচারিত ‘পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানে’ কেরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে। তার সবচেয়ে বড় সাফল্য ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে কুয়েতে ৭০ দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় প্রতিযোগিতাসহ ২০১৭ সালে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা হুফফাজুল কোরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে। বর্তমানে সে হাজারীবাগ বায়তুর রসুল ইসলামিয়া মাদরাসায় কিতাবখানায় অধ্যয়নরত।

 

হাফেজ নাজমুস সাকিব


বৃহত্তর ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানাধীন ইতাইল পল্লীতে বাবা মোঃ আবুল কালাম আজাদের ঔরসে ও মা মোসা. সালমা বেগমের গর্ভে ২৯ মার্চ ২০০১ সালে তার জন্ম। ২০০৬ সালে ময়মনসিংহের আমলাপাড়া আনোয়ারা হাফেজিয়া মাদরাসায় তার পড়াশোনার হাতেখড়ি হয়। এ মাদরাসা থেকেই হেফজ শেষ করে হাফেজ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ২০০৮ সালে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে হাফেজ নাজমুস সাকিব,একাধিক আন্তর্জাতিক পুরুস্কারপ্রাপ্ত আলহাজ হাফেজ দা:বা:এর প্রতিষ্টিত তাহফিজুল কুরআন ওয়াস সুন্নাহর ছাত্র। সেখানে তিন বছর অধ্যয়ন করে।
২০১২ সালে ভারতের ব্যাঙ্গালুরু প্রদেশে অনুষ্ঠিত এশিয়া মহাদেশ কেরাত প্রতিযোগিতায় ২৭টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করে। ২০১৩ সালে দুবাই আন্তর্জাতিক কেরাত প্রতিযোগিতায় ৮৬টি দেশের প্রতিযোগীকে টপকে প্রথম স্থান অর্জন করে। একই বছর দেশের মাটিতে মিডিয়াভিত্তিক সর্ববৃহৎ ও বহুল পরিচিত কোরআন তেলাওয়াতের রিয়েলিটি শো বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভিতে প্রচারিত ‘পিএইচপি-কোরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানে’ কেরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে।
২০১৪ সালে পবিত্র মক্কায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কেরাত প্রতিযোগিতায় ৭৩ দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে। এ বছরই ওমানের রাজধানী মাসকাটে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কেরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে। ২০১৫ সালে সুদানের রাজধানী খার্তুমে অনুষ্ঠিত আফ্রিকা মহাদেশ কেরাত প্রতিযোগিতায় ৬৫টি দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে। একই বছর কাতারে অনুষ্ঠিত ১৮ দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে।
২০১৬ সালে মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক কেরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে। নাজমুস সাকিব ২০১৫ ও ২০১৬ সালে লন্ডনের ওয়াটার লিলিতে খতমে তারাবির ইমামতি করে।
বর্তমানে সে ঢাকার বারিধারা মাদরাসায় মাদানী নেসাবে নাহবেমীতে অধ্যয়নরত।
ভবিষ্যতে তার ইচ্ছা, পবিত্র কোরআন ও হাদিসের জ্ঞান অর্জন করে মহান আল্লাহ তায়ালার দ্বীন প্রচারে নিজেকে নিয়োজিত করা। এজন্য সবার কাছে সে দোয়াপ্রার্থী।

হাফেজ মোরশেদুল আলম 

কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার অন্তর্গত মায়রা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে ২০০২ সালের ৮ ডিসেম্বর তার জন্ম। বাবা প্রবাসী বাংলাদেশী এবং মা গৃহিণী। তার পড়াশোনা শুরু চট্টগ্রামের পাহড়তলীর সেগুন বাগান তালিমুল কোরআন মাদরাসায়, তারপর ২০১১ চট্টগ্রাম ফয়েজিয়া হাফেজিয়া তালিমুল কোরআন মাদরাসায় হিফজ শেষ করে। ২০১২ সালে চট্টগ্রামের বোয়ালিয়া দারুল আনসার আল কোরআন ইনিস্টিটিউটে সে মিজান জামাতে অধ্যয়ন শেষ করে। পরে চট্টগ্রামের চাঁদপুরা দারুসুন্নাত মাদরাসা থেকে জেডিসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ২০১২ সালে মিডিয়াভিত্তিক সর্ববৃহৎ ও বহুল পরিচিত কোরআন তেলাওয়াতের রিয়েলিটি শো বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভিতে প্রচারিত ‘পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানে’ কেরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে। এছাড়া সে বিভিন্ন জাতীয় প্রতিযোগিতাসহ অনেক পুরস্কার অর্জন করে।

হাফেজ আবদুল্লাহ আল কাউসার

২০০২ সালের ২ ডিসেম্বর গাজীপুর জেলাধীন কাপাসিয়া থানার অন্তর্গত জায়গীর পল্লীর মাদরাসা শিক্ষক বাবা মো. আতাউর রহমানের ঔরসে ও মা গৃহিণী মোসা. হাজেরা আকতারের গর্ভে জন্ম। হাফেজ আবদুল্লাহ আল কাউসার স্থানীয় মদিনাতুল উলুম আলিম মাদরাসার হিফজ শাখায় পড়াশোনা করে। ২০১০ সালে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে। ২০১১ সালে মিডিয়াভিত্তিক সর্ববৃহৎ ও বহুল পরিচিত কোরআন তেলাওয়াতের রিয়েলিটি শো বেসরকারি টেলিভিশন বাংলাভিশনে প্রচারিত ‘পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানে’ কেরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে। ২০১১ সালে দেশব্যাপী সর্ববৃহৎ কেরাত প্রতিযোগিতা, হুফফাজুল কোরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে এবং এ বছরই জাতীয় হাফেজ সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। ২০১৪ সালে এম এ রাজ্জাক মাস্টার আলিম মাদরাসা গাজীপুর থেকে জেডিসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। ২০১৭ সালে এম এ রাজ্জাক মাস্টার আলিম মাদরাসা গাজীপুর থেকে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ-৪.৮৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। বর্তমানে সে ঢাকার মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধসংলগ্ন জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া মাদরাসায় মিশকাত জামাতে অধ্যয়নরত।

ফাহিম আহমাদ

নারায়ণগঞ্জ জেলার তারাবো গ্রামে জন্মগ্রহণ করে। বাবা ব্যবসায়ী, মা গৃহিণী। ঢাকার যাত্রাবাড়ী মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যানাল মাদরাসায় পড়াশোনা শুরু করে। তারপর বিশেষ পা-িত্যের জন্য এ মাদরাসায় দীর্ঘদিন অধ্যয়ন করে। সে দেশের একাধিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ২০১০ সালে মিডিয়াভিত্তিক সর্ববৃহৎ ও বহুল পরিচিত কোরআন তেলাওয়াতের রিয়েলিটি শো বেসরকারি টেলিভিশন বাংলাভিশনে প্রচারিত ‘পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানে’ কেরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় প্রতিযোগিতাসহ অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করে। বর্তমানে সে কাতারে সরকারি মসজিদের ইমাম হিসেবে নিয়োজিত। তার বেতন প্রায় ২ লাখ টাকা।

হাফেজ মোঃ আশরাফুল ইসলাম

ব্রহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া থানার অন্তর্গত কলেজপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে বাবা প্রফেসর তাফাজ্জুল হোসেনের ঔরসে ও মা শিরিন আক্তারের গর্ভে জন্মগ্রহণ করে। দেশের প্রাচীনতম দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিক্ষক আল্লামা আলহাজ হজরত মাওলানা হাফেজ কারি যোবাইর আহমদ নূহ কাসেমি (রহ.) এর অক্লান্ত পরিশ্রমে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও মাত্র ১৭ মাসে পবিত্র কোরআন শরিফ হেফজ শেষ করে। সে দেশের একাধিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ২০০৯ সালে মিডিয়াভিত্তিক সর্ববৃহৎ ও বহুল পরিচিত কোরআন তেলাওয়াতের রিয়েলিটি শো বেসরকারি টেলিভিশন বাংলাভিশনে প্রচারিত ‘পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানে’ কেরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে।

হাফেজ তরিকুল ইসলাম

কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার মালিগাঁও গ্রামের মো. আবু বকর সিদ্দিক ও তহুরা বেগম দম্পতির সন্তান হাফেজ তরিকুল ইসলাম। নিজ গ্রামের শামসুল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসায় পড়ালেখা শুরু হলেও সে ২০১০ সালে চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার সাচারে প্রতিষ্ঠিত নুরে মদিনা তাহফিজুল কুরআন মাদরাসায় হেফজ শুরু করেন। সেখানে ৩ বছরে কুরআনের হেফজ শেষ করেন।

কুরআনের উন্নত শিক্ষা লাভে হাফেজ তরিকুল ইসলাম রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়িস্থ হাফেজ ক্বারি নেছার আহমদ আন-নাছিরি পরিচালিত মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসায় ভর্তি হন। সে দেশের একাধিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় প্রতিযোগিতাসহ অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করে।

দুবাই আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় ১০৩টি দেশকে হারিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত ২১ তম দুবাই আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন।

-এজেড


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ