আওয়ার ইসলাম : ঢাকা আগামী বছর ইসলামি সম্মেলন সংস্থা (ওআইসি)’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে। আইভরি কোস্টের অর্থনৈতিক রাজধানী আবিদজানে চলমান ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৪তম সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওআইসিতে বাংলাদেশের সক্রিয় ও গঠনমূলক ভূমিকা এবং ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের স্বীকৃতি হিসেবে এ সিদ্ধান্ত এসেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী আবিদজানে ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৪তম সম্মেলনে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আইভরিকোস্টের প্রেসিডেন্ট আলাসানে ওয়াতারা সোমবার এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
সম্মেলনে বাংলাদেশ ঢাকায় ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব দিলে সদস্য দেশসমূহ পূর্ণ সমর্থন জানায়। প্রায় সাড়ে তিন দশক পর ঢাকায় এ সম্মেলনটি আবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ ওআইসি ট্রয়কা’র অংশ এবং আগামী তিন বছরের ওআইসি’র ৮ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য হলো।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী বাংলাদেশের জনগণকে এ সম্মান প্রদান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ওপর পুনরায় আস্থা রাখার জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ধন্যবাদ জানান।
বিপুলসংখ্যক সদস্য রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীগণ ও পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র, বিভিন্ন ওআইসি প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের প্রতিনিধিরা ৪৪তম সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে চলতি বছরের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘সংহতিপূর্ণ বিশ্বে তারুণ্য, শান্তি ও উন্নয়ন’।
সম্মেলনে তারুণ্যের বৃহত্তর ভূমিকা ও অংশগ্রহণে শান্তি, উন্নয়ন ও ইসলামি সংহতির গুরুত্বের ওপর জোর দেয়া হয়। কেননা, তরুণরাই হলো মুসলিম উম্মাহর সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে ইসলামি বিশ্বের সংহতি ও ঐক্য এবং মতভেদ দূর করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে এক বিবৃতি দেন।
তিনি মুসলিম জাহানের অঢেল সম্পদের সদ্ব্যবহার এবং দ্রুততর উন্নয়নের পথ অনুসরণের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, উন্নয়ন অনেক সমস্যার সমাধান করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহত্তর আন্তঃওআইসি বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরামর্শ দেন এবং বেশ কয়েক বছর আগে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত একটি ইসলামিক কমন মার্কেটের গন্তব্যে পৌঁছার লক্ষ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য ও এফটিএ বাস্তবায়নের আহবান জানান।
মাহমুদ আলী ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম প্র্যাকটিস বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচন, আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি, শান্তিরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়ন, সন্ত্রাস ও উগ্রপন্থা দমন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সাফল্যের কাহিনী বিনিময়ে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে রয়েছেন, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক, সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ওআইসি’র পিআর গোলাম মোশি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও রিয়াদের বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ।
-এজেড