আওয়ার ইসলাম : করাচি ইসলামিক সেন্টারের সূচনা হয় ১৯৮২ সালে। দীর্ঘ দিন ইসলামিক সেন্টার হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করার পর ২০০৮ সালে তাকে পরিণত করা হয় সিনেমা হলে। প্রায় নয় বছর পর আদালতের রায়ে ‘ইসলামিক সেন্টার’ আবার ফিরে গেলো আপন রূপে।
পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের করাচি ব্রাঞ্চ সিন্ধু হাইকোর্টের দেয়া রায় খারিজ করে দিয়ে নতুন রায় প্রদান করে। এর আগে সিন্ধু হাইকোর্ট ইসলামিক সেন্টারকে সিনেমা হলে পরিবর্তন করার বৈধতা প্রদান করে।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ইসলামিক সেন্টারকে আপন রূপে ফিরিয়ে দিতে এবং পরিবর্তনকারী ঠিকাদার কোম্পানি জরিমানা করা হয়েছে।
গত বছর করাচি জামাআতে ইসলামির আমির নাঈমুর রহমান সিদ্দিকির এক আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আনওয়ার জহির জামালি সিন্ধু হাইকোর্টের কাছে জানতে চাওয়া হয় কেনো ইসলামিক সেন্টারকে সিনেমা হলে পরিবর্তন করা হয়?
বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে কাশ্মীরের ডেপুটি পুলিশ সুপার নিহত
আবেদনকারী নাঈমুর রহমান সিদ্দিকি তার আবেদনে উল্লেখ করেন ১৯৮২ সালে জেনারেল এস এম আব্বাসী ইসলামিক সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। উদ্দেশ্য ছিলো ইসলামি সভ্যতা সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার।
আবেদনে আরও বলা হয়, সাবেক সিটি গভর্নর নেয়ামতুল্লাহ খানের সময় কমপ্লেক্সটি পূর্ণতা লাভ করে এবং ৭৫০ আসন বিশিষ্ট একটি অডিটরিয়ামে পরিণত হয়।
২০০৮ সালে করাচি গভর্নর মোস্তফা কামাল ইসলামিক সেন্টারকে ‘সেন্টার ফর আর্ট এন্ড লার্লিং’ পরিণত করে এবং ভবনের ভেতর ও বাহির থেকে সব ইসলামিক নিদর্শন ও আয়াত মুছে ফেলা হয়। ২০১০ সালে সেখানে নিয়মিত সিনেমা প্রদর্শন শুরু হয়।
২০১২ সালে এক অভিযোগের ভিত্তিতে ভবনটি সিলগালা করে দেয়া হয় এবং ২০১৬ সালে নাঈমুর রহমান সিদ্দিকি ভবনটি আপন রূপে ফিরিয়ে দেয়ার আবেদন করেন এবং সে আবেদনের প্রেক্ষিতে এ রায় প্রদান করা হলো।
সূত্র : দৈনিক ডন
-এআরকে