আওয়ার ইসলাম: প্রচলিত শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তন করে কোরআন সুন্নাহ ভিত্তিক শাসন কায়েম করা না গেলে মুজিব আর জিয়ার আদর্শের ভেড়াজালে বাংলাদেশের ভাগ্য ঘুরপাক খাবে কিন্তু দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হবে না।
দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য ইসলামী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ মোহাম্মাদ ফজলুল করিম রহ. এর ইবাদতের রাজনীতির দাওয়া বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছিয়ে দিতে হবে। ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন আরব আমিরাতের কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত ঈদ পূনর্মীলনী সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাওলানা আলী হোসাইন সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান ও বিগত সরকার গুলির শাসনকাল পর্যালোচনা করলে এটা প্রমাণিত হয় যে, শান্তি একমাত্র আল্লাহ এবং রাসুল সা. এর তরিকায়, মুজিব ও জিয়ার আদর্শে শান্তি নাই। যদি থাকতো বাংলাদেশের আজ এই অবস্থা হতো না।
তিনি তথাকথিতএকটি ইসলামী দলকে ইশারা করে প্রশ্ন করেন, আজ কেন হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামানোর জন্য এতো ফঁন্দী ও তদবির করেন? একদিন এই দলকেই ক্ষমতায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাতো আর কম করেন নাই! আপনাদের সহযোগীতা নিয়েইতো ২১ বছরপর সরকার গঠন করেছিল আওয়ামীলীগ!
তিনি সকল শ্রেণির মানুষের কাছে আবেদন করে বলেন আসুন ইনসাফ কায়েমের জন্য আমরা সকলে যদি রাজনীতিকে ইবাদত হিসাবে গ্রহণ করি, তাহলে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসাবে দেখতে বেশি সময়ের প্রয়োজন হবে না ইনশাআল্লাহ।
মাউন্ড রয়েল হোটেলে আয়োজিত( দেরা দুবাই) ঈদ পূনর্মিলী সভায় আরো বক্তৃতা করেন ইসলামী আন্দোলন আরব আমীরাত কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি ও দুবাই শাখার সভাপতি মাওলানা আনছারুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ও আল-আইন শাখার সভাপতি মাওলানা আজিজুল্লাহ, কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি ও আবুদাবী শাখার সভাপতি মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ আশরাফী,শারজাহ শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির আর্থ সম্পাদক মওলানা ফয়জুল্লাহ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সেক্রেটারি জনাব আলহাজ্ব জুলফিকার, দুবাই শাখার সেক্রেটারি মুফতি কামাল বিন সৈয়দ, আজমান শাখার সেক্রেটারি মাওলানা আরিফুল ইসলাম, মাওলানা দিলদার হোসানাই, মাওলানা রফিক, হাফেজ আবুল খায়ের, মাওলানা নাছির উদ্দীন বিন সিদ্দীক আহমদ মাওলানা আব্বাস আলী সহ আরো অনেকে।
বক্তরা বলেন ইসলামী আন্দোলনের নীতির রাজনীতির সাথে জনগণের সম্পৃক্ততায় প্রমাণ করে বাংলাদেশে অচিরেই ইসলামী বিপ্লব সংগঠিত হবে আর এই বিপ্লবের নেতৃত্ব হযরত পীরসাহেব চরমোনাই অধীনেই হবে ইনশাআল্লাহ।
বক্তরা আরো বলেন ৯৫ % মুসলমানের দেশে সুপ্রিমকোর্টের সামনে মূর্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নাটক করার কোন মানে হয়না। তারা বলেন ইমরান সরকার, সুলতানা কামাল, হাসানুল হক ইনুরা প্রধানমন্ত্রীর বলে বলিয়ান হয়ে ইসলাম, আজানের বিরুদ্ধে কথা বলছে। প্রধানমন্ত্রী যদি ইসলাম বিরোধীদের পক্ষে শক্তির যোগান দেওয়া বন্ধ করে বাংলাদেশে ইসলাম বিরোধী শক্তী ১ মিনিটও ঠিকতে পারবেনা ইনশাহ আল্লাহ।
তারা সরকারকে হুশিয়ার করে বলেছে ইসলাম নিয়ে তামাশা করার পরিনাম কারো জন্য ভাল হবে না, বাংলাদেশের জনগণ চিরদিনের জন্য কাউকে ক্ষমতার চাবিকাঠি দেয়ে দেয়নি! বাংলার জনগোষ্ঠী কারো একক কতৃত্ব মেনে নেয়নি আর কোন দিনও মানবে না।
শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ জয়নাল আবদীন সাহেব ও সংগীত পরিবেশন করেন যতাক্রমে শিল্পী মুফিজ সিদ্দীকি, শোয়াইব মতিউর রহমান। পরিশেষে বাংলাদেশ ও আরব ইমারত সহ সকল মুসলিম বিশ্বের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকার জন্য মুনাজাত করা হয়।
এসএস/