প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের ছুটিতে রাজধানী এখন ফাঁকা। যানজট ও কোলাহলহীন ঢাকা শহরেই ঘুরে বেড়ানোর মাঝে অনেকেই খুঁজে পেয়েছেন নির্মল আনন্দ। এছাড়াও ঈদের দ্বিতীয় দিনে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও জনস্রোত লক্ষ্য করা গেছে।
ঈদের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকেই জাতীয় জাদুঘর, চিড়িয়াখানা, শিশু পার্ক, রমনা পার্ক, বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারসহ রাজধানীর বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলো ঢাকাবাসীর পদচারণয় মুখর হয়ে উঠেছে। বিশেষকরে শাহবাগের কেন্দ্রীয় শিশু পার্ক ও জাতীয় জাদুঘর লোকে লোকারণ্য।
এসব বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে এসে রাজধানী যে ফাঁকা হয়ে গেছে তা বোঝার উপায় নেই। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছেন অনেকেই। শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীসহ সকলের আনন্দ-উৎফুল্ল ছিল চোখে পড়ার মত। রাজধানীর হাতিরঝিলেও সকাল থেকেই উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
এছাড়াও সংসদ ভবন চত্বর, ক্রিসেন্ট লেক, ধানমন্ডি লেক, চন্দ্রিমা উদ্যান, শিশু পার্ক, জাতীয় জাদুঘর, মিরপুরের চিড়িয়াখানা, জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান, শ্যামলীর শিশু মেলা, লালবাগ কেল্লা, আহসান মঞ্জিল, বসুন্ধরা সিটি শপিংমল ও যমুনা ফিউচার পার্কসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো ছিলো দর্শনার্থীপূর্ণ।
বরাবরের মত এবারের ঈদেও চিড়িয়াখানায় সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ্য করা যায়। দেশি-বিদেশি অসংখ্য প্রজাতির পশুপাখি, জলহস্তী, কুমির, বাঘ, সিংহ, হাতি, হরিণ, জেব্রা, ভাল্লুক, বানরসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীরা এদিনও ছিল শিশু থেকে শুরু করে সকল বয়সের মানুষের কাছে আগ্রহ ও আনন্দের কেন্দ্র বিন্দুতে।
অপরদিকে পলাশী, পাবলিক লাইব্রেরী, টিএসসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যেন পরিণত হয়েছে তরুণ-তরুণীদের গান-গল্প আর সেলফি উৎসবে। ফুচকার দোকানে প্রিয়জনের অপেক্ষায় থাকা বেশ কয়েকজন তরুণীকে দেখা গেলেও সেলফি ক্যামেরায় মেকআপ নিতে ব্যস্ত তারা। আবার তাদের কেউ-কেউ ব্যস্ত আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।