সৌদি আরবের মাটিতে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছিল তুরস্ক। তবে সেই প্রস্তাবে না জানিয়ে দিয়েছে সৌদি প্রশাসন।
দেশটিতে তুরস্কের কোনো সামরিক স্থাপনা নির্মাণ করা হবে না মর্মে রাষ্ট্রায়ত্ব বার্তাসংস্থায় একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
জানা যায়, সৌদি সাম্রাজ্যে তুরস্ককে কোনো সামরিক ঘাঁটি করতে দেয়া হবে না। সৌদি আরবের সামরিক ক্ষমতা তুরস্কের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।
বার্তাসংস্থা এএফপি’র প্রকাশিত সংবাদে এক সৌদি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়, সন্ত্রাসবাদ এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার প্রশ্নে সৌদি আরব নিজেদের মাটির বাইরেও লড়াই করছে। এমনকি তুরস্কের ইনসিরলিক ঘাঁটি থেকেও সৌদি বাহিনী অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এর আগে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান বলেন, সৌদি আরবকে ২০১৪ সালে কাতারে সামরিক স্থাপনা নির্মাণের পরই প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তখন সৌদি কর্তৃপক্ষ এরদোয়ানের প্রস্তাব নিয়ে কোনো বক্তব্য না দিলেও গত শনিবার ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়।
উল্লেখ্য, কাতারের সঙ্গে গত ৫ জুন উপসাগরীয় আরব অঞ্চলের পাঁচ দেশ সম্পর্ক ছিন্ন করে। পরবর্তীতে এর ধারাবাহিকতায় আরো কয়েকটি দেশ কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করলে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নতুন দিকে মোড় নেয়।
সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে যে, কাতার আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের অন্যতম অর্থ যোগানদাতা ও মদদদাতা। ইসলামিক স্টেটের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনকেও কাতার অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু সকল অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও মাত্র কয়েকদিন আগেই কাতারের সঙ্গে যুদ্ধবিমান বিক্রয় সংক্রান্ত একটি চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সৌদিতে শাখা খুলতে চায় ইসলামী ব্যাংক