আওয়ার ইসলাম : পাহাড়ধসে নিহত প্রায় দেড়শো মানুষের প্রাণহানির দায় সরকার এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ।
তারা বলেন, অবসম্ভাবী প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মৃত্যুর দায় প্রকৃতির উপর চাপানো যায় না। অপরিকল্পতভাবে পর্যাপ্ত ঢাল রক্ষা না করে এবং ভূমিধ্বস ঠেকানোর জন্য পাইলিং-সিমেন্টিংসহ ড্রেইনেজ না করে পাহাড় কাটার ফলাফল আজকের পাহাড়ধস।
তারা সরকার দলের নেতাকর্মীদের দোষারোপ করে বলেন, অধিক মুনাফার জন্য এইসব প্রিকশন না নিয়ে কেবল পাহাড় কেটেই ক্ষ্যান্ত হন নাই, মাসিক চাঁদা নির্ধারণ কওে সেই ঝুঁকিপূর্ন পাহাড়ের ঢালে গরিব মানুষকে বাসা-বাড়ী তৈরী করে জীবন্ত কবর হবার পারমিট দিয়েছেন। বন বিভাগ ও বন মন্ত্রনালয় এ দায় এড়াতে পারে না।
পাহাড় ধসে নিহতদের প্রতি শীর্ষ আলেমদের শোক প্রকাশ
তারা প্রশ্ন তোলেন, সরকার দূঃখ প্রকাশ ও শোক বানী দিয়ে ক্ষান্ত হবে, এমন অপদার্থ রাষ্ট্র সরকাওে প্রয়োজন কি? যে রাষ্ট্রের কর্ণধাররা নাগরিকদেও প্রান স্বল্প মূল্যে বিক্রি করে দেয়।
আজ (বুধবার) এক যৌথ বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম এবং সেক্রেটারি মাওলানা এবিএম জাকারিয়া উপরোক্ত কথা বলেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, দেশে কোন দুর্যোগ হলে অন্য দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা বিদেশ সফর বাতিল করে নিজ দেশে দ্রুত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। অথচ আমাদের দেশে পাহাড় ধসে নিহত অসংখ্য লাশের স্তুপ ডিঙ্গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন সুইডেন সফরে বেরিয়েছেন।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, এতো বড় বিপর্যয়ে লাশের সংখ্যা যখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তখন সরকার প্রধান ভ্রুক্ষেপহীন, নিরুদ্বেগে বিদেশ সফওে বেরিয়েছেন। আমরা মনে করি বর্তমান সরকারের জনগনের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই বলেই জনগণের বিপদের সময় নির্লজ্জ আচরণ করছেন।
এখন বিদেশিদের মন রক্ষা করে ভোটারবিহীন সরকারের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্যই প্রধানমন্ত্রী বিদেশে ছোটাছুটি করছেন। বিদেশের যে সমস্ত কনফারেন্সে সচিব পর্যায়ের বা প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের লোক যাওয়ার কথা সেখানে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত হচ্ছেন।
-এআরকে