বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে দেশ: ফখরুল চক্রান্তের ফাঁদে না পড়ে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের আহ্বান শায়খ আহমাদুল্লাহর ভোলায় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও স্মরণসভা চরমোনাইর বার্ষিক অগ্রহায়ণ মাহফিল বুধবার, চলছে সর্বশেষ প্রস্তুতি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান আসিফ মাহমুদের অসহায় শীতার্তের পাশে মাওলানা গাজী ইয়াকুবের তাকওয়া ফাউন্ডেশন দেশের তিন জেলায় শিক্ষক নিচ্ছে ‘আলোকিত মক্তব’ বৃদ্ধার দাড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবন্ধীদের ধর্মীয় ও কারিগরি শিক্ষা দিতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে: ধর্ম উপদেষ্টা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র সফল হবে না: মাওলানা আরশাদ মাদানী

ইসলামী দলগুলোর সমন্বয়ে নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে: মাওলানা নেজামী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী বলেছেন, ইসলাম বিরোধী অপতৎপরতা রোধ ও ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার জন্যে উলামায়ে কেরামকে ঐক্যের ধারণা পুনরুজ্জীবিত, বিকশিত ও কার্যকর করার প্রয়াস চালাতে হবে। তাঁদেরকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে মিত্রশক্তি তৈরি করে।

তিনি বলেন, ইসলামী দলগুলোর সমন্বয়ে নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সৃষ্টি করতে হবে চিন্তা ও কর্মের নতুনধারা। তৌহিদী জনতাকে জাগাতে হবে। ইসলামী চিন্তা-চেতনা দিয়ে জনসাধারণকে রূপান্তরিত করতে হবে সম্মিলিত মানবীয় শক্তিতে। কারণ অসংগঠিত জনতা কোনো বিপ্লব করতে পারে না। তাই ইসলামী দলগুলো নিজেদের দ্বারা নেতৃত্ব সৃষ্টি করে, সেই নেতৃত্বের দ্বারা সংগঠিত হয়ে কাজ করলে অসাধ্য সাধন করা যাবে। তাই আজ ইসলামী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নজিদিরে পায়ে দাঁড়াতে হবে। তিনি বলেন, ইতিহাসে দেখা যায়, কোনো ইস্যু সৃষ্টি হলে উলামায়ে কেরাম বিক্ষোভে কিংবা অভ্যূত্থানে ফেটে পড়ে সাময়িকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়। কিন্তু অবস্থার চাপ যখন থাকেনা তখন ঐক্যের স্থলাভিষিক্ত হয় অনৈক্য।

আজ ১১ জুন রবিবার রাজধানীর হোটেল ইম্পেরিয়ালে ইসলামী ঐক্যজোট আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহফিলে ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, মূর্তি চিরতরে উচ্ছেদ করতে হবে এবং মূর্তির পক্ষাবলম্বনকারী মন্ত্রীদের অপসারণ করতে হবে। তিনি বলনে সুলতানা কামাল গংদের মূর্তির পক্ষে ও মসজদি বিরোধী বক্তব্য জাতিসংঘসহ সকল আন্তর্জাতিক আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। দেশে বলবৎ আইনেও এ ধরনের বক্তব্য নিষিদ্ধ। মুসলমানদরে ধর্মীয় অনুভতিতে আঘাতকারী সুলতানা কামালেরর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি করেন তিনি।

মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত মাওলানা শাহ্ আতাউল্লাহ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, এনডিএফের আহবায়ক শেখ সালাউদ্দীন সালু, মুসলিমলীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রশিদ মজুমদার, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা যোবায়ের আহমদ, মাওলানা জসিম উদ্দিন, অধ্যাপক মাওলানা এহতেশাম সারওয়ার, যুগ্ম মহাসচিব মুফতী তৈয়্যব হোসাইন, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াছেল, সাংগঠনিক সচিব মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন, বিএনজেপির চেয়ারম্যান ফয়েজ চৌধুরী, ফরায়েজি জামাতের মাওলানা আজিজুর রহমান, খেলাফত মজলিসের মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মোস্তফা মঈনুদ্দিন খান, ইসলামী ঐক্যজোটের সহকারী মহাসচিব মাওলানা ফারুক আহমদ, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মাওলানা গাজী ইয়াকুব, মাওলানা এ.কে.এম আশরাফুল হক, মাওলানা আনছারুল হক ইমরান, ছাত্র খেলাফতের সভাপতি খোরশেদ আলমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকগণ।

একটি প্রতিশ্রুতি ও সম্ভাবনা


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ