হেফাজতে ইসলামের দাবির প্রতি সরকার ও সুপ্রিম কোর্টের নতি স্বীকার একটি গর্হিত কাজ এবং দুর্বলতার কাজ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক অজয় রায়।
তিনি বলেন, ‘লেডি জাস্টিসিয়া কোনক্রমেই মূর্তি নয়, উপাসনার বস্তু নয়। এটি ন্যায় বিচারের প্রতীক। তার হাতে ন্যায় বিচারের প্রতীক হিসেবে দাড়িপাল্লা ছিল, আরেকটি তলোয়ার ছিল। যার অর্থ যে আইন ভঙ্গ করবে তার প্রতি আইনানুগ দণ্ড দেওয়া হবে।’
শুক্রবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে সংলাপসূত্রের আয়োজনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. অজয় রায় বলেন, ‘একাত্তর আমরা বহুদিন আগে পেরিয়ে এসেছি। সেখানে অর্জনগুলা আমরা সে সময় করেছিলাম, শ্লোগানের ভাষায় বলি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের অর্জন। আমার লক্ষ্যটা হচ্ছে তরুণ সমাজের প্রতি। হাইকোর্টের সামনে থেকে লেডি জাস্টিসিয়ার প্রতীকটিকে আমি শিল্পের দিক থেকে হয়ত এটাকে ভাস্কর্য নাও বলতে পারি। কিন্তু ঐ ভাস্কর্যটি স্থাপিত হয়েছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই। কিন্তু হেফাজতে ইসলামের দাবিতে ওখান থেকে সে ভাস্কর্য সরাতে হলো। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এবং প্রধান বিচারপতির যে দৃঢ় অবস্থান নেওয়া উচিত ছিল, সেই অবস্থান তারা নিতে পারেননি।’
এসএস/