আওয়ার ইসলাম : জম্মু-কাশ্মিরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে আদিল ফারুক নামের এক কলেজছাত্র নিহত হওয়ার প্রতিবাদে আজ সেখানকার প্রতিবাদী জনতা ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে।
ওই কলেজছাত্র গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিরাপত্তা বাহিনীর ক্রসফায়ারে নিহত হন।
আজ কয়েক হাজার জনতা তার জানাজা ও দাফনে উপস্থিত ছিলেন।
আজ (বুধবার) ওই ঘটনার প্রতিবাদে দক্ষিণ কাশ্মিরের পুলওয়ামাতে সর্বাত্মক বনধ পালন করা হচ্ছে। সেখানকার তরুণরা সড়কে নেমে ‘আজাদি’র সমর্থনে স্লোগান দেয়াসহ পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়লে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় নিরাপত্তা বাহিনীকে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে হয়।
অন্যদিকে, আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের সহস্রাধিক ছাত্র প্রতিবাদ বিক্ষোভে শামিল হয়। এ সময় জম্মু-কাশ্মির মহাসড়কে ছাত্ররা ভারত বিরোধী স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানোর পাশাপাশি স্টান গ্রেনেড ছোঁড়ে।
আজ হান্দওয়াড়াতে সরকারি ডিগ্রি কলেজের কয়েকশ’ ছাত্র প্রতিবাদ বিক্ষোভে শামিল হয়। প্রতিবাদী ছাত্ররা সরকার বিরোধী স্লোগান দিয়ে সড়কে নেমে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়লে পাল্টা জবাবে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়। উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সময় যান চলাচল সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়।
দক্ষিণ কাশ্মিরের সোপিয়ানে মঙ্গলবার নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালানোর সময় ২ গেরিলাকে বাঁচাতে স্থানীয় জনতা পাথর ছুঁড়ে প্রতিবাদ জানায়। এসময় ভিড়ের মধ্যে থাকা আদিল ফারুক নামে এক তরুণ গুলিতে নিহত হন। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় ব্যাপক সহিংসতায় ৫ নিরাপত্তা কর্মীসহ ১০ জন আহত হন।
সূত্র : পার্সটুডে
-এআরকে