আওয়ার ইসলাম : জবাইয়ের উদ্দেশ্যে হাটে গবাদি পশু কেনাবেচার ওপর কেন্দ্রীয় সরকারের নিষেধাজ্ঞা খারিজ করে দিয়েছে কেরালা বিধানসভা।
আজ (বৃহস্পতিবার) বিধানসভায় কেন্দ্রীয় সরকারের ওই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে এক প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে।
আজ ‘বিফ’ প্রসঙ্গে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই ক্যান্টিনে নাশতা করার সময় বিধায়কদের ‘বিফ’ খেতে দেখা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্যান্টিনের এক কর্মী বলেন, ‘বিধানসভার সাধারণ কার্যদিবসে ক্যান্টিনে বেলা ১১ টার পরে গরুর গোশত পরিবেশন করা হয়। কিন্তু আজ যেহেতু গরুর গোশত ইস্যুতেই অধিবেশন ডাকা হয়েছে সেজন্য সকালেই ১০ কেজি গরুর গোশত আনা হয়। বিধানসভায় প্রবেশের আগেই বড় সংখ্যক বিধায়করা ‘বিফ ফ্রাই’ খেয়েছেন।’
গরুর মাংস খাওয়া কোনো অপরাধ নয়: যোগগুরু রবি শঙ্কর
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জবাইয়ের উদ্দেশ্যে হাটে পশু বিক্রি বন্ধ নিয়ে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তা নিয়ে এরইমধ্যে দেশের বিভিন্ন অংশে বিরোধিতা শুরু হয়েছে। বামপন্থী কেরালা সরকারের পক্ষ থেকে আজ ওই ইস্যুতে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়। বিধানসভায় প্রস্তাব পাস করে কেন্দ্রীয় সরকারের ওই আদেশকে প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়েছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ওই আদেশ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী।
বিজয়ন বলেন, ‘এক বছরে রাজ্যে কমপক্ষে ১৫ লাখ পশু আনা হয় কিন্তু এবার তা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গোটা রাজ্যে প্রায় ৫ লাখ মানুষ এ সংক্রান্ত ব্যবসায় জড়িত রয়েছে যাদের ওপরে সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে। কেরালায় প্রত্যেক বছর ৬ হাজার ৫৫২ কোটি টাকার প্রায় আড়াই লাখ টন গোশত বিক্রি হয়।’
তিনি বলেন, একদিকে কৃষকরা আন্দোলন করছেন অন্যদিকে, সরকার এ ধরণের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
কেরালার সাবেক মন্ত্রী ও কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা ত্রিভাঞ্চুর রাধাকৃষ্ণান বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে আমাদের দেশের প্রধান গবাদি পশুর গোশত রফতানিকারক কোম্পানি উত্তর ভারতের এবং এর মধ্যে কিছু বিজেপি বিধায়কেরও রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া নির্দেশে তাদের বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করছে। আমরা তা মেনে নেব না।’
গরু জবাই এবং গোশত খাওয়াকে কেন্দ্র করে মেঘালয়ে ইতোমধ্যেই দু’জন বিজেপি নেতা দল থেকে পদত্যাগ করে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন।