মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসের জোগানদাতা অভিযোগ করে কাতারকে উপসাগরীয় প্রতিবেশীদের কাছ থেকে কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার কৃতিত্ব নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে পোস্ট করা বার্তায় কাতারের বিচ্ছিন্নতার জন্য নিজের ভূমিকার কথা বলেন ট্রাম্প।
সন্ত্রাসী ও ইরানকে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগে সোমবার কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক ও অন্যান্য সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), ইয়েমেন, লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সরকার ও মালদ্বীপ। এর একদিন পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, সৌদি আরবে সাম্প্রতিক সফরে তিনি বলেছিলেন, কাতার ‘চরমপন্থী মতাদর্শ’গুলোর পৃষ্ঠপোষক। সফরের ফল পাওয়া শুরু হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিশ্লেষকদের মতে, সৌদি আরবে ট্রাম্পের সফরের মাত্র দুই সপ্তাহ পর উপসাগরীয় ও মিত্র দেশগুলোর এই সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ মোড়।
সফরে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এক বক্তৃতায় ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার জন্য ইরানকে দায়ী করে চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাঁর এই বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলো কাতারকে একঘরে করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর টুইটারে লেখেন "মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় আমি বলেছিলাম জঙ্গি অর্থায়ন ঠেকাতে হবে, এটাকে কোনভাবেই বাড়তে দেয়া যাবে না। দেখেন-নেতারা কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করছেন"।
এরপর আরেকটি টুইট বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন, সৌদি আরবসহ পঞ্চাশটি দেশ যে বলছে তারা চরমপন্থা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে, তা দেখে খুব ভালো লাগছে। কাতারকে উদ্ধৃত করে তারা তাদের সিদ্ধান্তও জানিয়েছে। সন্ত্রাসবাদ শেষ করার লক্ষ্যে সম্ভবত এটাই শুভ সূচনা।
এসএস/