আওয়ার ইসলাম : আসন্ন ঈদুল ফিতরে নৌপথে দুর্ঘটনা এড়াতে এবং নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে অবিলম্বে সারা দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম জোরদারসহ ১০ দফা জরুরি সুপারিশ উত্থাপন করেছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।
সোমবার সকালে নৌ-পরিবহনসচিবকে লেখা এক পত্রে অবিলম্বে এই সুপারিশমালা বাস্তবায়নের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে স্বাক্ষরিত সংগঠনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে সুপারিশসহ ওই পত্রের অনুলিপি নৌ-পরিবহনমন্ত্রী, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষর (বিআইডাব্লিউটিএ) চেয়ারম্যানকেও পাঠানো হয়েছে।
জাতীয় কমিটির সুপারিশে ত্রুটিপূর্ণ, সার্ভেবিহীন ও অনিবন্ধিত লঞ্চসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর ও বিআইডাব্লিউটিএর নিয়মিত অভিযান পরিচালনা, আইন লঙ্ঘনকারী নৌযান, মালিক, মাস্টার ও ড্রাইভারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় টেলিভিশন-বেতারে ও সকল টার্মিনালে লাউড স্পিকারে প্রতি ঘণ্টায় আবহাওয়াবার্তা প্রচার, সকল নৌযানকে আবহাওয়াবার্তা মেনে চলতে বাধ্য করা, জননিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠন, সার্ভেবিহীন অথবা ইতিমধ্যে সার্ভের মেয়াদোত্তীর্ণ লঞ্চগুলোকে ঈদ-পূর্ববর্তী ১৫ দিনের মধ্যে বার্ষিক সার্ভে সনদ না দেওয়া, কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশের পাশাপাশি উপকূলীয় জেলাগুলোর পুলিশ প্রশাসনকে নৌ নিরাপত্তার কাজে সম্পৃক্তকরণ, ঈদের ১৫ দিন আগে সকল টার্মিনাল ও গুরুত্বপূর্ণ লঞ্চঘাটে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা স্থাপনসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং সকল টার্মিনালের শৌচাগারে পর্যাপ্ত পানিসহ সেগুলো পরিচ্ছন্ন রাখা ও ইফতারির জন্য বিশুদ্ধ পানির বন্দোবস্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
লিখিত পত্রে জানানো হয়েছে, চলমান দুর্যোগ মৌসুম এবং পবিত্র ঈদুল ফিতরকে অগ্রাধিকার দিয়ে নৌ-পরিবহন বিশেষজ্ঞ, রাজনীতিক, সাংবাদিক এবং পরিবেশ ও নাগরিক অধিকার সংরক্ষণবিষয়ক বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের মতামতের ভিত্তিতে এই সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
নদীমাতৃক বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব ও দুর্ঘটনার ঝুঁকিমুক্ত একটি আধুনিক নৌ-পরিবহন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার স্বার্থে জাতীয় কমিটির এই ১০ দফা সুপারিশ অতি গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করা হয়েছে।
-এআরকে