গো-মাংস খাওয়ায় তেমন কোনো অপরাধ আছে বলে মনে করেন না যোগগুরু রবি শঙ্কর। তিনি মনে করেন, কে কী খাবেন বা না খাবেন, তা বেছে নেয়ার পুরোপুরি অধিকার রয়েছে তার। তবে প্রকাশ্যে পশুনিধনের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ হওয়া উচিত।
শনিবার ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে রবি শঙ্কর বলেন, ‘মানুষ যা চান, যেটা খেতে পছন্দ করেন, তাই খেতে পারেন। এতে অন্যায়ের কিছু নেই। তবে প্রকাশ্যে পশুনিধনটা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।’
খোলাবাজারে গরু, মহিষ বিক্রি বন্ধে কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, তাকে অবশ্য পুরোপুরি সমর্থন করেছেন রবিশঙ্কর। গত মাস থেকে নতুন করে গজিয়ে ওঠা গোমাংস ইস্যুতে এই প্রথম মুখ খুললেন ভারতীয় এই যোগগুরু।
তার কথায়, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের বিধি মানুষের খাদ্যাভাসকে অস্বীকার করেনি। বরং যেটা শোভন, তাকেই মান্যতা দিয়েছে।’
গো-মাংসের জন্য প্রকাশ্যে গরু জবাই করার পরিণাম কী হয়েছে, তা বোঝাতে গিয়ে রবিশঙ্কর বলেন, ‘তামিলনাড়ুতে ৮৫ রকমের গরু, বাছুর ছিল। কিন্তু যথেচ্ছ গো-নিধনের ফলে তা কমতে কমতে এখন দুইটিতে এসে দাঁড়িয়েছে। গো-নিধন বন্ধে শুধু ভারতেই নয়, কিউবাতেও এমন আইন রয়েছে। সেখানে গরু জবাই করলে জরিমানা দিতে হয়।’ আনন্দবাজার।
এসএস/