রিফাত হোসেন: বনানীর এক হোটেলে ধর্ষণকাণ্ডের পর আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শোরুম থেকে সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর। রোববার এসব সোনা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এরপর আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শুল্ক আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার রাতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মইনুল খান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষকে যথেষ্ট সময় দেয়া হয়েছে। তাদের তিন বার তলব করা হয়েছিল, দু'বার এসেছিলেন তারা। কিন্তু যেসব কাগজ-পত্র চাওয়া হয়েছিল সেসব দাখিল করতে ব্যর্থ হয়েছেন আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ। এ কারনে স্বর্ণগুলো অবৈধ বলে ধারনা করছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের ডিজি জানান, আপন জুয়েলার্সের পক্ষ থেকে যেসব কাগজ-পত্র দাখিল করা হয়েছে সেসব যাচাই করে দেখা গেছে সবই ভুয়া। আয়কর এবং ভ্যাট স্টেটমেন্ট অনুযায়ী তাদের মজুদকৃত সোনার পরিমাণ একেবারে কম। আপন জুয়েলার্সে যে পরিমাণ সোনা পাওয়া গেছে তার মাত্র দুই ভাগ আয়কর নথি এবং ভ্যাট স্টেটমেন্টে উল্লেখ করা আছে।
উল্লেখ্য, ২৮ মার্চ রাতে রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে রাতভর ধর্ষণের শিকার হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী। এরপর আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে শুল্ক বিভাগ।
যে পাঁচটি উপায়ে আপনিও ইউটিউবে জনপ্রিয় হতে পারেন