আওয়ার ইসলাম : জাতিসংঘের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় 'মোরা'র ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করতে।
ইতিমধ্যে কাজ শুরু করা এ গ্রুপ আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করবে। তাদের প্রকাশিত প্রকাশিত রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের অফিসের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে রিলিফওয়েব।
জাতিসংঘের প্রশিক্ষণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইউএনআইটিএআর) এর অপারেশনাল স্যাটেলাইট (ইউএনওএসএটি) এর তথ্য অনুযায়ী প্রায় ১ কোটি ৭৪ হাজার মানুষের উপর দিয়ে ১২০ কিলোমিটার বেগে ঘূর্নিঝড় বয়ে যায়। এর মধ্যে কক্সবাজার, চট্টগ্রামসহ কয়েকটি জেলায় ১৩০ কিলোমিটার বেগে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়।
ন্যাশনাল হেল্থ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার ও হেলথ সার্ভিস এর মহাপরিচালক (ডিজিএইচএস) এর রিপোর্টের বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে ৬ জন নিহত, ১৩৬ জন আহত হয়।
বাজেট নিয়ে দুই ইসলামি অর্থনীতিবিদের প্রতিক্রিয়া
দেবীমূর্তি অপসারণে কোনো টালবাহানা বরদাশত করা হবে না: শীর্ষ উলামায়ে কেরাম
সরকারি তথ্যমতে, প্রায় ৫২ হাজার ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষের আশ্রয় প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকর জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ (৮ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন) টাকা এবং ১৪শ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করেছে। নৌবাহিনীর ২টি জাহাজে করে দূরবর্তী দ্বিপসমূহেও এসব সাহায্য পৌছে দেয়া হবে।
ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্পে ও বসতীদের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (ডব্লিউএফপি) পক্ষ থেকে ১২২ মেট্রিক টন বিস্কুট বিতরণ করা হচ্ছে। ইউএনএইচসিআর ও ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব মাইগ্রেশন বালুখালি এলাকায় প্লাস্টিকের শিট, দড়িসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করছে।
ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব দ্যা রেড ক্রস এন্ড রেড ক্রিসেন্ট (আইএফআরসি) জরুরী খাদ্য, পানি ও আবাসন ব্যবস্থার জন্য ১ লাখ ৭ হাজার ডিজাস্টার রিলিফ ইমার্জেন্সি ফান্ড (ডিআরইএফ) সংগ্রহ করেছে।
-এআরকে