আওয়ার ইসলাম : আজ (বুধবার) বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় উলামা-মাশায়েখ সম্মেলন। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী উলামায়ে কেরাম ও ইসলামী চিন্তাবিদগণ ইসলাম ও মুসলমানের পক্ষে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। সম্মেলনে প্রবন্ধ পাঠ করেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী এবং সভাপতিত্ব করেন মাওলানা আবু তাহের জিহাদী।
সম্মেলনে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী। ঘোষণাপত্রে সাত দফা দাবি তুলে ধরা হয়। ঘোষণাপত্রটি নিম্নরূপ,
সন্মানিত শীর্ষ উলামায়েকেরাম, ইসলামী চিন্তাাবিদ ও সাংবাদিক বন্ধুগণ!
শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত আমাদের প্রিয় এ বাংলাদেশ। এদেশের মুসলমানদের দ্বীনি চেতনা, ধার্মিকতা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। ইসলামী দলসমুহের খেদমত, মসজিদ, মাদরাসা, ওয়াজ মাহফিল, তাবলীগ, পীর-মুরিদীও লেখনীর মাধ্যমে মুসলমানদের অন্তরে ইসলামের শিকড় অত্যন্ত মজবুত ভাবে গেঁথে রয়েছে। ধর্মীয় নেতাদের নৈতিক ও আধ্যাতিক প্রভাব শহর-গঞ্জ থেকে শুরু করে সুদূর পল্লী পর্যন্ত বিস্তৃত। দেশী-বিদেশী ইসলামী দুশমনদের এটাই গাত্রদাহ।
তাই কি করে এদেশ থেকে ইসলাম নির্মূল করা যায় সে লক্ষে তারা নানাবিধ ষড়যন্ত্র করেই চলেছে। ইসলামী দল, ইসলামী ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। আমাদের কৃষ্টি-কালচার, তাহজীব-তামাদ্দুন ও সভ্যতা -সংস্কৃতিতে বারবার আঘাত হানা হচ্ছে। জাতীয় ঈদগাহ ও সুপ্রিমকোর্ট প্রাংগনে বসানো হয়েছে দেবী মূর্তি। বেসামাল হয়ে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে ধর্মহীন জাতীয় শিক্ষানীতি। প্রনয়ণ করা হয়েছে কুরআন বিরোধী নারী নীতি। সংবিধানের মূলনীতি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে “সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস।
দেবীমূর্তি অপসারণে কোনো টালবাহানা বরদাশত করা হবে না: শীর্ষ উলামায়ে কেরাম
মৃণাল হক মুসলমান নামের কলঙ্ক: চরমোনাই পীর
বন্ধুগণ, ইসলাম বিরোধী চক্রের শেকড় অনেক গভীরে, দেশি-বিদেশি, সরকারি-বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এ ধারাবাহিক চক্রান্ত মোকাবেলা করা বিশেষ কোন শ্রেনীর পক্ষে সম্ভব নয়। তাই ইসলামের প্রতি গভীর আস্থা-বিশ্বাসীদের,সুশীল সমাজ, পেশাজীবি, ছাত্র-শিক্ষক, রাজনীতিক ও উলামা-মাশায়েখের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের প্রয়োজন।
অতীতে ইসলামী দল ও ব্যক্তিত্বদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টা-সাধনায় তাদের মিশন বারবার ব্যর্থ হয়েছে। তাই এখন প্রয়োজন সুচিন্তিত কর্মসূচী গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে যে কোন ত্যাগ স্বীকারের দৃঢ় সংকল্প।ঈমান, ইসলাম, ইসলামী জীবন বিধান, শরয়ি আইন হেফাজত ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার দাবীতে ইসলামী দল ও মারকাযসমূহের ঐক্যবদ্ধ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৭ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরা হলো।
১. অবিলম্বে সুপ্রীমকোর্ট প্রাঙ্গণসহ দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান থেকে সকল প্রকার মূর্তি সরাতে হবে।
২. মসজিদ ও ধর্মীয় উপাসানালয় অধিগ্রহণের সরকারী সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে
৩. ধর্মহীন জাতীয় শিক্ষা নীতির ইসলাম বিরোধী ধারাসমূহ সংশোধন ওকুরআন সুন্নাহ বিরোধী নারীনীতি বাতিল করতে হবে।
৪.কওমি ও আলিয়া মাদরাসাসমূহের অধিকার সংরক্ষণ ও তাদের দাবী সমূহ বাস্তবায়ন করতে হবে।
৫. ৭২’র সংবিধানে ফিরে যাওয়ার নামে দেশকে ধর্মহীন করার ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে।
৬. ঈমান, আকিদার সাথে সাংঘর্ষিক সকল কালাকানুন বাতিল করতে হবে।
৭. জংগীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের সাথে জিহাদকে একাকার করে ফেলার ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে।
-এআরকে