মুহাম্মাদ ইয়াসিন : হিজরতের পর একদা হযরত আবুবকর রাঃ সিরিয়ায় গিয়েছিলেন ব্যাবসার উদ্দেশ্যে।যারা এই কাফেলায় ছিলেন তাঁরা সকলেই মুসলমান এবং রসুলে কারীম সা. এর সোহবত প্রাপ্ত সাহাবায়ে কেরাম।
হযরত আবুবকরের দুইজন সহযোগী ছিলেন নায়িমান এবং সুয়াইবিত রাঃ। সুয়াইবিত কাফেলার খাবার পরিচালোনার দায়িত্বে ছিলেন। হযরত আবুবকর কোন কাজে বাহীরে গিয়েছিলেন।এমন সময় নায়িমানের খুব থিদে পেলে সুয়াইবিত কে বললেন খাবার দাও!
সুয়াইবিত বললেন হযরত আবুবকর রাঃ আসুক পরে দিব। একথা শুনে নায়িমান মনে মনে দুষ্টামির ফন্দি আঁটলেন এবং বললেন তোমাকে উচিৎ শিক্ষা দিব। যেই চিন্তা সেই কাজ। পাশদিয়েই এক কাফেলা যাচ্ছিল। নায়িমান কাফেলার সর্দারের কাছে গিয়ে বললেন আমার একটা কৃতদাস আছে তাকে বিক্রি করবো। সে অনেক পৈতাল এবং নিজকে স্বাধীন দাবী করে। কথাবার্তা শেষ, বিশটি উটের বিনিময়ে তাঁকে ক্রয় করলেন ওই কাফেলার সর্দার।
বিশটি উট আলাদা করে,সুয়াইবিত কে তাদের কাফেলায় নিতে এল।তারা সুয়াইবিত কে ধরল এবং বলল আমরা তোমাকে বিশটি উটের বিনিময়ে ক্রয় করেছি। সুয়াইবিত বললেন কী! আমাকে কে ক্রয় করবে!?
আমি কারো গোলাম নই! আমি স্বাধীন। তারা নায়িমানের কথা বলল। তিনি বল্লেন সে দুষ্টমি করেছে।
ওইদিকে নায়িমান লুকিয়ে লুকিয়ে হাসছিলেন।যখন সুয়াইবিত স্বাধীনের কথা বল্লেন;তখন নায়িমান ইশারা দিয়ে তাদের বুঝালেন বলেছিলাম না! সে স্বাধীন দাবী করবে!?
সর্দার তাঁকে দড়ি দিয়ে বাঁধার আদেশ করল।সুয়াইবিত তখন রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে গেলেন। অনেক চেষ্টাও করলেন। পরিশেষে অপারগ হয়েগেলেন তিনি।
তাঁকে শক্ত করে বাঁধল। তখন তিনি নায়িমান কে বললেন অনেক হয়েছে দুষ্টমি এবার ছাড়তে বল!
আমি তোমাকে সময় মত খাবার দিতে আর ভুল করব না। এমন সময় হযরত আবুবকর এসে বল্লেন আরে তোমরা কি করছ!?? হযরত নায়িমান সব হযরত আবুবকরের কাছে বল্লেন। শুনে হযরত আবুবকর অনেক হাসলেন। এই কাহিনী করার কারণ ওই সর্দারকেও বল্লেন, সর্দার হযরত সুয়াইবিত কে ছেড়ে তার উট নিয়ে গেল।
এই ঘটনা যখন রাসূলুল্লাহ সা. কানে গেল তিনিও অনেক হাসলেন আরো হাসলেন সাহাবায়ে কেরাম। পরবর্তীতে যখন দুইজনের কার আগমন ঘটতো। সকলেই অনেক হাসতেন। ঐ বছরের হাসির উপাদান ছিল এই ঘটনা-ই।
এসএস/