আওয়ার ইসলাম : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, মুসলমানের দ্বীন ও দুনিয়ার সমৃদ্ধি, পার্থিব ও আধ্যাত্মিক উন্নতি, দৈহিক ও মানবিক শ্রেষ্ঠত্ব আর গৌরব ও মর্যদার অবিস্মরণীয় স্মৃতি বয়ে নিয়ে আসে মাহে রমজান। কিন্তু মাহে রমজানের তাৎপর্যকে ম্লান করে দিতেই সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে গ্রিক দেবী থেমিসের মূর্তি সরিয়ে এ্যানেক্স ভবনের সামনে পুন:স্থাপন করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে মুসলিম জনতাকে ধোকা দেয়া হয়েছে। মূর্তি অপসারণ প্রশ্নে আমরা সরকারকে বলেছিলাম রমজানের আগেই মূর্তি সরাতে, না হলে ১৭ রমজান সারাদেশে বিক্ষোভ হবে। মূর্তি সরানোর ১দিন পরই পুন:স্থাপন করে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর বোধ-বিশ্বাস ও আবেগের সাথে তামাশা করা হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সরকারকে সময় সীমা বেধে দিয়েছিল রমজানের পর সুপ্রিমকোর্ট ঘেরাও করা হবে। কেবল গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণ নয়, এখন দেশের সকল মূর্তিই ধ্বংস করতে হবে।
তিনি বলেন, ইসলাম ইনসাফ ও ভারসাম্যপূর্ণ ন্যায়ের ধর্ম। ইসলামে সকল বিষয়ের সমাধান দেয়া আছে, ভবিষ্যতে কি সমস্যা ও তার সমাধান কি তাও বলা আছে। কাজেই গ্রিক ঐতিহ্য থেকে ধার করার কোন প্রয়োজন এখানে নেই। যারা ইসলাম বাদ দিয়ে গ্রিক আদর্শ থেকে মুসলমানদের আদর্শ খুঁজে তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করে। ইসলামে মূর্তির কোন স্থান নেই। মূর্তি বানানো ও সংরক্ষণ এবং এর পক্ষে সমর্থণ সবই মুশরিকের অন্তর্ভুক্ত। এ্ ধরণের ধ্যান-ধারনা পরিহার করতে হবে।
মূর্তি ধ্বংস করুন নতুবা আপনারা ধ্বংস হয়ে যাবেন: চরমোনাই পীর
তিনি বলেন, বিশ্বের সকল রাষ্ট্রেই সে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর চিন্তা-চেতনা কৃষ্টি-কালচারের প্রতি লক্ষ্য রেখেই নির্ধারণ করা হয়। অথচ বৃহত্তর মুসলিম দেশ বাংলাদেশে তার বিপরীত। এদেশের সংস্কৃতি বা কালচার দেখলে মনে হবে এদেশ পৌত্তলিক বা হিন্দু প্রধান দেশ। এমনটা তো উচিত নয়। তিনি বলেন, যদি কারো মূর্তির প্রতি বিশেষ আকর্ষণ থাকে সে তার বাসায় মূর্তি স্থাপন করে তার অর্চনা করুক, তাতে কারো আপত্তি নেই। কিন্তু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি ৯২ ভাগ মুসলমানদেরকে চাপিয়ে দেয়ার চক্রান্ত কেন?
আজ সকালে বরিশালের চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে ১৫ দিনব্যাপী বিশেষ তালিম তারবিয়াতের ৩য় দিনের আলোচনায় পীর সাহেব চরমোনাই উপরোক্ত কথা বলেন। এতে পীর সাহেব চরমোনাই, নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম ছাড়াও দরবারের খলিফাগণ আলোচনা করেন।
-এআরকে