বঙ্গোপসাগর একটি গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।
রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া আবহাওয়ার চার নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় (১৫.৭ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০.৭ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছিল।
এটি আজ সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘণীভূত হয়ে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার মধ্যে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর সমূহকে ১ (এক) নম্বর পুনঃ ১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে অতিসত্ত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।