আওয়ার ইসলাম : জয়পুরহাটের বেল আমলার বারো শিবালয় মন্দিরে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালানোর খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী।
তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলাম সংখ্যালঘুদের উপর যে কোনরূপ সাম্প্রদায়িক হামলা ও তাদের যে কোন ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে থাকে।
আজ (২৮ মে) রবিবার সংবাদপত্রে প্রেরিত এক বিবৃতিতে হেফাজত মহাসচিব এই উদ্বেগ জানান।
হেফাজত মহাসচিব বলেন, জয়পুরহাটের মন্দিরে হামলার যে ঘটনা গণমাধ্যমে বেরিয়েছে তা অবশ্যই উদ্বেগের ও নিন্দনীয়। আমরা এ ধরণের ঘটনার নিরপেক্ষ ও সঠিক তদন্ত এবং দোষী দুর্বৃত্তদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও উপযুক্ত দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি বিধানের আহবান জানাই। কোন ধর্মস্থানের কোন সম্প্রদায়ের নিজস্ব প্রতিমার সুরক্ষা সকলের নৈতিক এবং সামাজিক দায়িত্ব। আমরা সবসময় যে কোন সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানো, বিভেদ তৈরি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের যে কোন ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণ ও তাদেরকে হেয় করার ঘোরতর বিরোধী।
মধ্যরাতে আন্দোলনকারীদের প্রতি সহমর্মিতা ও গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করলেন আল্লামা আহমদ শফী
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশে মুসলমানদের ঈমান-আকিদা রক্ষা ও জাতীয় স্বার্থের স্বপক্ষে লড়াইয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশে সমাজের সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সম্প্রীতিমূলক সহাবস্থানে বিশ্বাস করে।
তিনি বলেন, আমরা চাই, বাংলাদেশের মুসলমানরা পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা উপভোগ করুক এবং অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষও যার যার অবস্থানে স্বাধীনভাবে ধর্মকর্ম পালন করুক। বাংলাদেশে আমরা সবাইকে নিয়েই সমাজ গড়তে চাই। আমরা বিদ্যমান সকল বৈচিত্রের মধ্যেই বাংলাদেশের সমাজ ও রাষ্ট্রে মানুষে মানুষে ঐক্য চাই। ইসলাম আমাদেরকে সেই সুমহান ঐক্যের শিক্ষা দিয়েছে।
তিনি বলেন, বিভেদাত্মক রাজনীতির সকল কুশীলবদের জানাতে চাই, ধর্ম আর সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্বেষ ও হিংসার আগুন না জ্বালিয়ে কীভাবে যার যার ধর্মীয় স্বকীয়তা বজায় রেখে সম্প্রীতিপূর্ণ সমাজ গড়া যায়, সেই লক্ষ্যে কাজ করুন।
-এআরকে