শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘খালেদা জিয়াকে প্রধান উপদেষ্টার সম্মান দেয়া সততার পুরস্কার’ ফ্যাসিস্ট সরকারের সব অন্যায়ের বিচার হবে : ডা. জাহিদ কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা

বাহাসের জন্য যাত্রাবাড়ীতে আসেনি আব্বাসী গ্রুপ; উভয়পক্ষের ফেসবুক লাইভ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

উবায়দুল্লাহ সাআদ: মিলাদ কিয়াম নিয়ে আলোচিত ২৫ মে’র বাহাস শেষ পর্যন্ত ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সমাপ্তি টেনেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই পক্ষই দুটি স্থানে আলাদা আলাদা কনফারেন্স করেছে। ফলে দুই পক্ষ এক স্থানে না হওয়ায় বিষয়টি অমিমাসংসিত রেখেই শেষ করতে হলো।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে মিলাদ কিয়ামের প্রথম পক্ষ মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীর প্রস্তাবিত স্থান যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় জড়ো হন মাওলানা লুৎফর রহমান ফরায়েজী ও তার লোকজন। কিন্তু এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ও তার লোকজন এখানে না এসে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের সামনে জড়ো হয়। সেখানে একটি গাছের নিচে বসে তারা ভিডিওর কনফারেন্স করেন।

সূত্র জানায়, পূর্বের চুক্তি অনুযায়ী রাজধানী যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় বাহাস অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ২৩ মে রাতের বেলা মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী তার নারায়ণগঞ্জ অবস্থিত আব্বাসী মঞ্জিল থেকে ফেইসবুক লাইভে ঘোষণা দেন বাহাস হবে রাজধানী ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের। হঠাৎ করে এই ঘোষণায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে ২৪ মে বিকাল ৩.৪০ মিনিটে পাল্টা লাইভ প্রোগ্রাম করে মাওলানা লুৎফর রহমান ফরায়েজী যাত্রাবাড়ীতেই বহস অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দেন এবং চুক্তি অনুযায়ী তাদের যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় আসতে বলেন। কিন্তু সেটা না শুনেই তারা তাদের ঘোষণা একতরফাভাবে বহাল রাখে।

যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় সরে জমিনে ঘুরে মাওলানা লুৎফর রহমান ফরায়েজী, মাওলানা শামসুদ্দোহা আশরাফী ও আবদুস সবুর সুমনসহ বিভিন্ন মাদরাসা থেকে আসা উলামায়ে কেরাম ও অসংখ্য ছাত্র-উৎসুক জনতার ভিড় লক্ষ করা গেছে। আলেমগণ ফতোয়ার বিভিন্ন কিতাব নিয়ে উপস্থিত হন বাহাসের স্থানে। কিন্তু দুপুর ১২ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ও তার অনুসারীদের কেউ এখানে আসেনি।

দিকে সকাল ৯ টায় আব্বাসী মঞ্জিল নামের ফেসবুক আইডি থেকে একটি লাইভ করা হয়। সেখানে দেখা যায় এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীসহ অনেকেই ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের সামনে একটি গাছের নিচে বসে আছেন। লাইভে মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমরা কথা অনুযায়ী বাহাসের জন্য ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে এসেছি। আশা করছি প্রতিপক্ষও এখানে আসবে এবং আমরা বিজয় অর্জন করবো।

তবে ওই ভিডিওর কমেন্টে অনেক মন্তব্যকারী যাত্রাবড়ীতে না গিয়ে এখানে কেন জিজ্ঞেস করলেও তারা কোনো উত্তর দেননি।

পরে ১০ টার দিকে মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করে সেখান থেকে চলে যান।

এদিকে সকাল ৯.৫৭ মিনিটে ফেইসবুক লাইভে মাওলানা লুৎফর রহমান ফরায়েজী ও মাওলানা শামসুদ্দোহা আশরাফী বলেন, আপনারা বলছেন যাত্রাবাড়ী শায়েখ বাহাসের জন্য অনুমতি দেননি তাহলে আমরা যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় এলাম কি করে? আমাদের উপস্থিতিই বড় প্রমাণ তিনি অনুমতি দিয়েছেন।

https://www.facebook.com/AskSumon/videos/1665167920179969/

বাহাসের অনুমতির বিষয়ে জানতে চেয়েছিলাম মজলিশে দাওয়াতুল হকের একজন দায়িত্বশীলের কাছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, বাহাসের জন্য হজরত অনুমতি দিয়েছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই, তাদের এখানে না আসা এবং হজরত অনুমতি দেননি বলে যে মিথ্যাচার তারা করেছেন তার জন্য হযরতের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পরেও বাহাস হলোনা কেন? এ বিষয়ে জানতে চাইলে, মিলাদ-কিয়াম এর বিপক্ষের প্রতিনিধি আবদুস সবুর সুমন ক্ষোভ প্রকাশ করে আওয়ার ইসলামকে বলেন দেখুন কিছুই বলার নেই, ওরা তো মিথ্যুক, বাহাস হবে যাত্রা্াড়ী মাদরাসায় এটা তো চুক্তিনামায় উল্লেখ ছিল, কিন্তু তারা এল না এবং যাত্রাবাড়ী হুজুরের নামে মিথ্যাচার করল। এর তীব্র নিন্দা জানাই।

এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য মিলাদ-কিয়ামের পক্ষের মুবাহিস মাওলানা মুঞ্জুরুল ইসলামের মোবাইলে দুপুরে বার বার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

https://www.facebook.com/abbasimonjiljoinpur/videos/671054353091667/

আগের সংবাদ: হচ্ছে না বাহাস : পারস্পারিক অভিযোগ (ভিডিও)

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ