আওয়ার ইসলাম : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে প্রাণের কবি উল্লেখ করে বলেন, নজরুল ছিলেন অসাম্প্রদায়িকতা ও জাতীয়তাবোধের মূর্ত প্রতীক।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৮ম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনিক বাংলা গানের বুলবুল কবি নজরুল ছিলেন, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তিনি একাধারে ছিলেন গল্পকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, সম্পাদক ও অনুবাদক। কবি তাঁর অনন্যসাধারণ লেখনীর মাধ্যমে আমাদের সাহিত্য, সংগীত ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন। নজরুল ছিলেন অসাম্প্রদায়িকতা ও জাতীয়তাবোধের মূর্ত প্রতীক। অত্যাচার, নিপীড়ন ও শোষণের বিরুদ্ধে ছিলেন উচ্চকণ্ঠ। তিনি আমাদের বিদ্রোহী কবি। তাঁর শিকল ভাঙার গানে জেগে উঠেছিল ঝিমিয়ে পড়া বাঙালি জাতি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে তাঁর লেখনী এ উপমহাদেশের মানুষকে উজ্জীবিত করেছিল। সংগ্রাম করে প্রগতির পথে এগিয়ে চলার সাহস যুগিয়েছিল। বিদ্রোহী কবির অগ্নিঝরা কবিতা ও গান আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ছিল অনন্ত প্রেরণার উৎস। শৌর্য-বীর্য ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের মন্ত্রে উজ্জীবিত কবির গান ‘চল চল চল’ বাংলাদেশের রণসংগীত ।
বাংলাদেশের প্রকৃতি, মানুষ ও মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা নজরুলকে গভীরভাবে আকর্ষণ করেছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কবির কৈশোর কাটে ময়মনসিংহের ত্রিশালে। তিনি কুমিল্লা ও ঢাকায় থেকেছেন। এদেশের মানুষের সাথে ঘনিষ্ঠ ও প্রীতিপূর্ণ আত্মিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন।
শেখ হাসিনা ‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের কর্ম, চিন্তা ও মননে কবির অবিনশ্বর উপস্থিতি বাঙালি জাতির প্রাণশক্তিকে উজ্জীবিত করে অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে। ’
-এআরকে