আওয়ার ইসলাম : প্রথম সাক্ষাতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, ট্রাম্প প্রকৃত খ্রিস্টান নন। ট্রাম্পের মুসলিমবিদ্বেষী বক্তব্য নিয়েও ক্ষুব্ধ হন তিনি।
এ সময় তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী হওয়ার আহবান জানান।
বুধবার (২৪ মে), দুইজনের মধ্যকার প্রথম বৈঠকে পোপ এ আহবান জানান।
গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় একে অপরকে নিয়ে তিক্ত বক্তব্য দিয়েছিলেন ট্রাম্প ও পোপ। প্রচারণাকালীন নিজেকে ‘গর্বিত খ্রিস্টান’ দাবি করে ট্রাম্প বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে টেক্সাস থেকে ক্যালিফোর্নিয়া পর্যন্ত মেক্সিকো কংক্রিটের দেয়াল গড়ে তুলতে হবে।
আর এ বক্তব্যের সমালোচনা করে পোপ বলেছিলেন, ট্রাম্প প্রকৃত খ্রিস্টান নন। যিনি সেতু নির্মাণের কথা না ভেবে দেয়াল গড়ে তোলার কথা বলেন,তিনি কখনওই খ্রিস্টান হতে পারেন না। খ্রিস্টের জীবন দর্শন সম্পর্কেও তার কোনও ধারণা নেই। ট্রাম্পের মুসলিমবিদ্বেষী বক্তব্য নিয়েও ক্ষুব্ধ ছিলেন পোপ।
একে অপরকে নিয়ে তিক্ত বাক্য বিনিময়কারী ও দুই ব্যক্তির মধ্যকার বৈঠক তাই অনেকের মধ্যে বিপুল আগ্রহ তৈরি করেছে।
ফিলিস্তিন ‘শান্তি চুক্তি’র ব্যাপারে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি
কাসেম বিন আবু বকর নিজের উপন্যাসকে ইসলামী বলতে নারাজ, আমরা কেনো বলবো?
বুধবার পোপের সঙ্গে দেখা করার জন্য ট্রাম্প ভ্যাটিকান প্রাঙ্গণ সুইস গার্ডে প্রবেশ করলে তাকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। ছোট্ট একটি এলিভেটরে করে অ্যাপস্টলিক প্যালেসের তিন তলায় পৌঁছে যান ট্রাম্প। অভ্যর্থনা নিতে নিতে করিডোর পার হয়ে পোপের দেখা মেলে। সেখানে দুজন করমর্দন করেন। এরপর দোভাষীর উপস্থিতিতে একান্তে ৩০ মিনিটের বৈঠক করেন তারা।
বৈঠক শেষে পোপ ফ্রান্সিস ট্রাম্পকে একটি জলপাই গাছের ভাস্কর্য উপহার দেন। একে শান্তির প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করে স্প্যানিশ ভাষায় তিনি বলেন, ‘আমি চাই আপনি (ট্রাম্প) জলপাই গাছের মতো করে শান্তির দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন।’
জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা শান্তিকে অবলম্বন করতে পারি।’
-এআরকে